ক্রিকেট বিশ্বকাপ এলেই ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশ যেন নতুন এক উৎসবের রঙে রাঙিয়ে ওঠে। ১১ জুন ২০২৫ এর এই সময়ে দেশজুড়ে সমর্থকদের আলোচনা একটাই বিষয়কে ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে আর সেটা হল আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ও সম্ভাবনা। গুলশান থেকে মিরপুর, ধানমন্ডি থেকে সিলেট পর্যন্ত চায়ের দোকানে বসে ক্রিকেট আলোচনাই এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। কি খবর ভাই, এই মৌসুমে আমাদের ছেলেরা কেমন করবে তা নিয়ে সবার মনেই আলাদা আলাদা আশা। আলহামদুলিল্লাহ দেশের ক্রিকেট নিয়ে এমন আগ্রহ সত্যিই গর্বের।
বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ঘরোয়া পর্যায়েও সমর্থকদের উত্তেজনা চোখে পড়ার মতো। মিরপুরে একটি খেলাধুলার আড্ডায় বসে গত সপ্তাহে কয়েকজন বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সবাই মিলে চটপটি আর ফুচকা খেতে খেতে বিশ্লেষণ করছিল যে আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ যদি ধারাবাহিকভাবে রান করতে পারে তাহলে ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হতে পারে। যদিও এবার বিশ্বকাপের নির্দিষ্ট সময়সূচি বা দলীয় পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনার মতো নির্ভরযোগ্য তথ্য এখনো খুব একটা নেই, তবুও সমর্থকদের বিশ্বাস দৃঢ়।
এদিকে দেশের ফুটবলেও গত মাসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে। বসুন্ধরা কিংস ইতোমধ্যেই পরপর পাঁচবার শিরোপা জিতে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। ক্রিকেট আর ফুটবল দুটো খেলাকেই ঘিরে এই সময়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। মাশাআল্লাহ বলা যায় খেলাধুলার পরিবেশ এখন অনেক বেশি প্রাণবন্ত, যা আমাদের সামাজিক মেলবন্ধনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা চলছেই। Facebook আর YouTube এ বিশ্লেষণমূলক ভিডিও, প্রিয় খেলোয়াড়দের নিয়ে পোস্ট, দোয়া কামনার মন্তব্য সব মিলিয়ে এক ধরনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। ঢাকার তরুণরা Pathao বা বাসায় বসে একই সঙ্গে কাজ আর ক্রিকেট বিশ্লেষণ দেখছে। বিশেষ করে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকার ক্যান্টিনগুলোতে এখন থেকেই পোস্টার আর পতাকা টাঙানোর প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপকে ঘিরে দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষদের যে আনন্দ আর আশা তা সত্যিই অনন্য। দেশের প্রতিটি মানুষ চায় জাতীয় দল মাঠে সর্বোচ্চটা দিক। আল্লাহ রহম করলে ইনশাআল্লাহ এবারও আমরা বিশ্বমঞ্চে নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারব।
Top comments (5)
ভাই, এত উন্মাদনা দেখি কিন্তু মাঠে গিয়ে খেলা দেখার সংস্কৃতি তো আমাদের দেশে গড়ে উঠলো না। টিভিতে বসে চিল্লাচিল্লি করলেই তো দল জিতবে না।
মাশাআল্লাহ, সিলেটের চায়ের দোকানগুলোতেও এখন শুধু বিশ্বকাপের জ্বর! ইনশাআল্লাহ এবার টাইগাররা ভালো কিছু করবে।
গত বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে বড় স্ক্রিনে ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম, মাশাআল্লাহ সেই পরিবেশ ভোলার না ভাই!
সত্যি কথা ভাই, বিশ্বকাপ এলে বাংলাদেশে যে উন্মাদনা শুরু হয় সেটা অন্য কোথাও দেখা যায় না। ইনশাআল্লাহ এবার ভালো কিছু হবে!
আমার মতে সমর্থকদের এই উন্মাদনাই আসলে দলের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা, আর সঠিক প্রস্তুতি থাকলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এবার চমক দেখাতে পারে। এটা ভাবার বিষয় যে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।