মিরপুরে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকালের ম্যাচটা সত্যি বলতে কি ভাই, পুরো বাংলাদেশকেই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সিটের কিনারায় বসিয়ে রেখেছিল। খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী ময়মনসিংহের মানুষ হিসেবে আমি নিজের চোখে যত ম্যাচ দেখেছি, তার মধ্যে এটা নিঃসন্দেহে অন্যতম রোমাঞ্চকর। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে আমাদের টপ অর্ডার একটু নড়বড়ে থাকলেও জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা আর তরুণদের দারুণ জ্বলে ওঠায় ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে এমন আশাই ছিল।

ম্যাচের মাঝপথে যখন রান তোলা কষ্টকর হয়ে উঠছিল, তখন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকদের মুখেও একটু চিন্তার ছাপ দেখেছি। তবে শেষদিকে ব্যাট হাতে নেমে যে ভাবে হাল ধরলেন আমাদের মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান, সত্যিই মাশাআল্লাহ। তাঁদের শান্ত ব্যাটিং, সঠিক শট নির্বাচন আর উইকেট না হারিয়ে রান তোলার দৃঢ় মনোভাব পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দূর থেকে নিজের মোবাইলে স্কোর আপডেট দেখছিলাম আর বারবার মনে হচ্ছিল পুরনো দিনের বাংলাদেশ দলের ধার ফিরে এসেছে আলহামদুলিল্লাহ।

এরপর বোলিংয়ে নেমে যেভাবে চাপ ধরে রাখা হয়েছে, সেটাও প্রশংসার দাবিদার। বিশেষ করে আমাদের দুই পেসার নতুন বলে দুর্দান্ত লাইন আপ করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেন। গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের পাশে দাঁড়িয়ে চা খেতে খেতে যখন বোলিং স্পেলগুলো দেখছিলাম, তখনই বোঝা যাচ্ছিল যে আজ বাংলাদেশের বোলাররা ছেড়ে কথা বলবে না। ফিল্ডিংও ছিল চোখে পড়ার মতো, কয়েকটা দারুণ ডাইভ এবং বাউন্ডারি বাঁচানো মুহূর্ত ম্যাচের গতি বাংলাদেশের দিকেই নিয়ে আসে।

শেষ পর্যন্ত মাত্র কয়েক রানের জয় পেলেও, এই ম্যাচটি দেখিয়ে দিল বাংলাদেশ আবারও দৃঢ় মনোবল নিয়ে মাঠে নামছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস আর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার যে মানসিকতা দেখা গেছে, তা ভবিষ্যতের জন্য খুবই ইতিবাচক। মিরপুরের মতোই ময়মনসিংহে বসেও বন্ধু মহলে আলোচনা জমে উঠেছে, সবাই বলছে এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে সামনে আরও ভালো কিছু দেখতে পাব ইনশাআল্লাহ।