১৬ জুন ২০২৫ তারিখে দেশের ব্যবসা পরিবেশ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে স্টার্টআপ খাতে আগ্রহ আগের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি উদ্ভাবন এবং সেবা খাতে আজকাল তরুণদের পাশাপাশি সিনিয়র নাগরিকরাও নতুন উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক দিকনির্দেশনা ও আর্থিক সহায়তা পাওয়া গেলে বাংলাদেশে আরও অনেক নতুন উদ্যোগ গড়ে উঠতে পারে, ইনশাআল্লাহ।
রাজশাহী অঞ্চলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃষিভিত্তিক স্টার্টআপ নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে। আম, সবজি ও খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ নিয়ে নতুন নতুন আইডিয়া সামনে আসছে। স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা পণ্যকে অনলাইনে বিক্রি করার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেও অনেকেই ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমি নিজেও রাজশাহীর এক পরিচিত ভাইয়ের কথা জানি, যিনি সাম্প্রতিক সময়ে নিজের বাড়ির আম চাষকে কেন্দ্র করে একটি ছোট অনলাইন সেবা চালু করেছেন। তিনি বলছিলেন যে Facebook এবং বিভিন্ন ডেলিভারি সেবা ব্যবহার করে অল্প পুঁজিতেই কাজটি শুরু করা সম্ভব হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপেও আজকাল সম্ভাবনা বাড়ছে। মোবাইল অ্যাপ, শিক্ষা প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যপরামর্শ সেবা এবং ডিজিটাল পেমেন্ট নিয়ে অনেক তরুণ কাজ করছেন। bKash বা Nagad এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে লেনদেনের সুবিধা পাওয়ায় ব্যবসা পরিচালনা আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনলাইন প্রশিক্ষণ ও সফটওয়্যার সাপোর্ট সেবা নিয়ে ছোট আকারে অনেকেই ব্যবসা শুরু করেছেন। মূল কাঠামো জোরালো না হলেও শুরুটা করা গেলে পরবর্তীতে বিনিয়োগ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। মূলধন সংগ্রহ, মার্কেটিং, সঠিক টিম গঠন এবং গ্রাহকের আস্থা অর্জন অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য অভিজ্ঞ মেন্টর ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনও আজকাল স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। রাজশাহীর অনেকেই আমাকে বলেছেন যে বড় শহরের তুলনায় এখানে সুযোগ কিছুটা কম, কিন্তু ইচ্ছা থাকলে এবং পরিকল্পনা পরিষ্কার হলে সাফল্য পাওয়া অসম্ভব নয়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের স্টার্টআপ পরিবেশ ধীরে ধীরে আরও সক্রিয় হয়ে উঠছে। তরুণ থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ সিনিয়র সবাই যদি নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন, তবে নতুন উদ্যোক্তাদের পথ অনেক সহজ হবে। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও অনেক উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাবে। 🌱
Top comments (5)
আমার মতে এখন যেভাবে বিভিন্ন বয়সের মানুষ স্টার্টআপে যুক্ত হচ্ছে, এটা বাংলাদেশের উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করবে ইনশাআল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে কৃষি ও আইটি খাতে এই আগ্রহ ভবিষ্যতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, বাংলাদেশে স্টার্টআপের এই ইতিবাচক পরিবর্তন সত্যিই আশা জাগায় মাশাআল্লাহ। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও ভালো কিছু দেখতে পাব।
হাহা ভাই, এখন দেখি স্টার্টআপ খুলতে খুলতেই সবাই এমন ব্যস্ত যে চাচারাও বলতেছে চাকরি বাদ দে মামা, আমরাও অ্যাপ বানাই ইনশাআল্লাহ।
ভাই, এই নতুন স্টার্টআপ আইডিয়াগুলোর মধ্যে কোন সেক্টরটাই এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে আপনি মনে করছেন, একটু বুঝিয়ে বলবেন?
ভাই, বর্তমান পরিবেশে কোন স্টার্টআপ সেক্টরটা সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে মনে করেন ইনশাআল্লাহ একটু বুঝিয়ে বলবেন?