নামাজ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতগুলোর একটি, তাই প্রতিদিন যতটা সম্ভব খুশু ও মনোযোগ দিয়ে পড়া জরুরি। অনেক প্রবাসী মা হিসাবে সময় মিলিয়ে নামাজ পড়া একটু চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কিন্তু নিয়ম ঠিক রাখলে বিষয়টি সহজ হয়ে যায়। প্রথমত, অজু করার সময় প্রতিটি ধাপ ঠিকভাবে পালন করা এবং মনে মনে দোয়া পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে নামাজ পড়লে পরিষ্কার ও শান্ত জায়গা বেছে নিলে মনোযোগ আরও বাড়ে, আলহামদুলিল্লাহ। ইচ্ছা করলে ফোনে ইসলামিক অ্যাপ ব্যবহার করে কিবলা দিক ঠিক করা যায়।
নামাজের রাকাত, সূরা পাঠ এবং দোয়ার নিয়মগুলো নিজেকে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করতে পারেন। বিশেষ করে সূরা ফাতিহা ও ছোট সূরাগুলো ঠিকভাবে তিলাওয়াত করলে নামাজ আরও সুন্দর হয়। রুকু ও সেজদার সময় শরীরের সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা জরুরি, এতে মনোযোগও বাড়ে। বাচ্চা সামলাতে সামলাতে নামাজ পড়তে হলে সময়কে একটু ভাগ করে নিতে পারেন, ইনশাআল্লাহ এতে নিয়ম ঠিক রাখা সহজ হবে। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই অনলাইন ভিডিও দেখে নামাজের নিয়ম শিখছেন, এতে ভুলগুলো ঠিক করতে সুবিধা হয় 🙂.
শেষে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য মনে ইচ্ছা শক্তি ধরে রাখা সবচেয়ে বড় বিষয়। চাইলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে এলার্ম সেট করলে নামাজ মিস হওয়ার সুযোগ কমে যায়। নিজের জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করতে পারেন, যেমন প্রতিদিন অন্তত একটি নতুন দোয়া শিখবেন। নিয়ম মেনে ধীরে ধীরে অভ্যাস গড়ে তুললে নামাজ পড়া শুধু কর্তব্য নয়, মনকে শান্ত করা এক সুন্দর অভ্যাসে পরিণত হবে, মাশাআল্লাহ।
Top comments (5)
মাশাআল্লাহ, খুবই দরকারি পোস্ট। প্রবাসী মায়েদের জন্য এই টিপসগুলো সত্যিই কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, নামাজের নিয়ম ঠিক রেখে পড়লে মনেও অনেক শান্তি আসে আলহামদুলিল্লাহ। ইনশাআল্লাহ সবাই উপকৃত হবে।
হাহা ভাই, খুশু ধরে নামাজ পড়া এত টিপস দেখে মনে হচ্ছে আমার মনোযোগই আগে অজু করতে গেছে। ইনশাআল্লাহ চর্চা করলে ঠিকই হবে।
আমার অভিজ্ঞতায় ফজরের নামাজের জন্য আগের রাতে আর্লি ঘুমানো সবচেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ এখন মিস হয় না।
মাশাআল্লাহ ভালো টিপস, কিন্তু আমার সমস্যা হইলো ফজরের আলার্ম বন্ধ কইরা আবার ঘুমায় যাই 😅