সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মহাকাশ বিজ্ঞানের অগ্রগতি আলহামদুলিল্লাহ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে বিশ্বের বড় বড় মহাকাশ সংস্থাগুলো নতুন গবেষণা, রোবট মিশন এবং চন্দ্রাভিযানে প্রতিনিয়ত চমক দেখাচ্ছে। নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং জাপানের জাক্সা মহাকাশ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা করেছে। বিশেষ করে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাসকে কেন্দ্র করে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের সামনে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে। বৈশ্বিক মহাকাশ প্রতিযোগিতার এই ধারায় বাংলাদেশও পিছিয়ে থাকতে চায় না এবং ইনশাআল্লাহ আগামী দিনগুলোতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মাধ্যমে মহাকাশ প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। মিরপুরে বসে আমরাও যখন টিভি বা ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করি তখন অনেকেই টের পাই না যে এর বড় অংশই এখন দেশীয় স্যাটেলাইট দ্বারা পরিচালিত। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি অনেক ফ্রিল্যান্সার ভাইদের কাজ এখন আরও দ্রুত হয় কারণ স্যাটেলাইট ভিত্তিক ট্রান্সমিশন অনেক সময় স্থির ও নির্ভরযোগ্য সুবিধা দিয়ে থাকে। এই ধরনের উন্নয়ন শুধু প্রযুক্তিগত নয় বরং দেশের অর্থনীতির মধ্যেও বড় প্রভাব ফেলছে।
বিশ্বে বর্তমানে মহাকাশ বিজ্ঞান শুধু গবেষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং বাণিজ্যিক ব্যবহারের নতুন দিগন্ত তৈরি করেছে। অনেক দেশ এখন স্পেস ট্যুরিজম, উপগ্রহ নির্মাণ, মহাকাশ খনন এবং আন্তঃগ্রহ ভ্রমণ নিয়ে পরিকল্পনা করছে। উদাহরণস্বরূপ, স্পেসএক্স এর স্টারশিপ প্রকল্প মানুষের চাঁদ ভ্রমণকে আগের চেয়ে সহজ করতে কাজ করছে। বাংলাদেশ যদি এখন থেকেই উপযুক্ত জনবল তৈরি করে তাহলে ভবিষ্যতে আমরা শুধু স্যাটেলাইট অপারেশন নয় বরং মহাকাশ প্রকৌশল ও গবেষণায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব।
মিরপুরে আমার এক বন্ধু আছে যে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করেছে এবং সে বলছিল যে আজকাল বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মহাকাশ গবেষণার প্রতি আগ্রহ আগের তুলনায় অনেক বেশি। ইউটিউব ও অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে তরুণরা এখন ব্ল্যাক হোল, ডার্ক ম্যাটার বা স্পেস টেলিস্কোপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছে। এই উৎসাহ যদি ধরে রাখা যায় তাহলে ইনশাআল্লাহ আগামী দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি গবেষক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রোগ্রামে অংশ নেবেন।
সব মিলিয়ে বলা যায় যে মহাকাশ বিজ্ঞান ভবিষ্যতের অর্থনীতি, যোগাযোগ, নিরাপত্তা এবং গবেষণার অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের জন্য এটি শুধু প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয় বরং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করার একটি বড় সুযোগ। সময়মতো পরিকল্পনা ও সঠিক বিনিয়োগ হলে মাশাআল্লাহ এই খাতে বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক মহলে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারবে।
Top comments (4)
আমার মতে বাংলাদেশ যদি এখনই গবেষণা অবকাঠামো আর মানবসম্পদ উন্নয়নে জোর দেয়, তাহলে মহাকাশ প্রযুক্তিতে ভবিষ্যতে বড় অগ্রগতি সম্ভব ইনশাআল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে ছোট উদ্যোগও দীর্ঘমেয়াদে জাতীয় সক্ষমতা তৈরি করে।
Hahaha mama, Bangladesh jodi ekdin rocket tule space e jaye, ami ager seat ta book kore rakhmu ইনশাআল্লাহ! Mazar post bhai.
ভাই, বাংলাদেশের জন্য বাস্তবে কোন কোন মহাকাশ প্রযুক্তি কাজে লাগতে পারে বলে আপনি মনে করেন ইনশাআল্লাহ একটু বুঝিয়ে বলবেন?
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, বাংলাদেশেরও এই সেক্টরে ইনশাআল্লাহ উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে।