উত্তরায় থাকলে বিয়ের প্ল্যানিং সত্যিই আলাদা একটা অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে যখন পরিবার আর বন্ধুদের সবাই কাছাকাছি থাকে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন অফিসের পর নানা রকম তালিকা করছি, কে কোন দায়িত্ব নেবে, কোন হলে অনুষ্ঠান করলে সুবিধা হবে, এসব নিয়ে মাথা ঘুরে যাচ্ছে ভাই। আলহামদুলিল্লাহ এখন সবকিছু ধীরে ধীরে গুছিয়ে আসছে, কিন্তু মাঝেমধ্যে মনে হয় যেন নিজেরই বিয়ের কথা ভুলে শুধু মিটিং আর ফোনকল নিয়েই ব্যস্ত। ইনশাআল্লাহ যতটা সম্ভব সহজভাবে, ঝামেলা কম রেখে অনুষ্ঠানটি করতে চাই।
বিয়ের জামাকাপড় বাছাইও কম ঝামেলার না। গুলশান আর মিরপুরের কয়েকটা দোকানে ঘুরে মাশাআল্লাহ বেশ কিছু ডিজাইন দেখলাম, কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আবার দ্বিধা। সব দোকানেই এমনভাবে সাজানো থাকে যে মনে হয় সবই নিয়ে ফেলি। এদিকে বাড়িতে মা বলছেন যেন বাজেট না বাড়িয়ে ফেলি, আর বন্ধুেরা বলছে ছবি তোলার জন্য আলাদা ভেন্যু ভাবতে। সত্যি বলতে, এখনকার দিনে পরিকল্পনার চেয়ে সমন্বয় করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
তারপরও মনটা ভালো আছে, কারণ পরিবার পাশে আছে, আর বন্ধুরা প্রায়ই চা খেতে খেতে নতুন আইডিয়া দেয়। Pathao আর bKash ব্যবহার করে লজিস্টিক সামলানোও বেশ সহজ হয়ে গেছে এসব দিনে। বাকি যা আছে ইনশাআল্লাহ সময়মতো ঠিক হয়ে যাবে। জীবনযাপনের এই ব্যস্ততার মাঝেও একটা নতুন অধ্যায় শুরু করার অনুভূতি সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। 😊
Top comments (0)