বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ে সক্রিয় আগ্রহ আজকাল আবারও বাড়ছে, বিশেষ করে যারা দীর্ঘমেয়াদে সঞ্চয়কে আরও ফলপ্রসূ করতে চান তাদের মধ্যে। সিলেটের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও কথা বলতে গেলে বোঝা যায় যে অনেকে এখন আগের তুলনায় আরও সচেতনভাবে ঝুঁকি মূল্যায়ন করছেন, আলহামদুলিল্লাহ এটি বাজারের জন্য ইতিবাচক একটি লক্ষণ। সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে কিছুটা দোলা দেখা গেলেও বিশেষজ্ঞরা সাধারণভাবে বলছেন যে অর্থনৈতিক নীতি, ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের সম্ভাবনা এখনও মধ্যমপন্থী আশাবাদের জায়গা তৈরি করে রেখেছে।
আমি নিজেও সিলেট সদর এলাকায় থাকা কয়েকজন সফটওয়্যার ডেভেলপার ভাইয়ের সঙ্গে শেয়ার বাজার নিয়ে প্রায়ই আলোচনা করি। তাদের অনেকে ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে প্রযুক্তি ভিত্তিক কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী, কারণ তারা মনে করেন দেশের ডিজিটাল সেক্টর ধীরে ধীরে আরও শক্ত হচ্ছে। এক ভাই বলছিলেন যে নিজের সঞ্চয়কে সরাসরি কোন কোম্পানিতে ঢালার আগে তিনি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন অনলাইন সংবাদপত্র, বাজার বিশ্লেষণ রিপোর্ট এবং ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের আপডেট দেখে নেন। ব্যক্তিগতভাবে আমিও একই অভিজ্ঞতা পাই যে ধারাবাহিক তথ্য অনুসন্ধানই বিনিয়োগ সিদ্ধান্তকে সবচেয়ে নিরাপদ করে।
শেয়ার বাজারে নতুন যারা, তাদের জন্য বিশেষজ্ঞরা সাধারণত পরামর্শ দেন যে দ্রুত মুনাফার আশা না করে ধীরে ধীরে পোর্টফোলিও তৈরি করাই উত্তম। বিশেষ করে যারা Pathao বা bKash এর মত প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবার বিকাশ কাছ থেকে দেখেছেন, তারা জানেন যে একটি কোম্পানির সফলতা সময় নিয়ে গড়ে ওঠে। অনেকেই বলেন যে বাজার ওঠানামা করলেও দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল কোম্পানিতে বিনিয়োগ তুলনামূলক নিরাপদ থাকে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা। শুধুমাত্র এক বা দুইটি কোম্পানির উপর সম্পূর্ণ ভরসা না করে বিভিন্ন খাতে ভাগ করে বিনিয়োগ করাটা সাধারণত নিরাপদ কৌশল হিসেবে ধরা হয়।
সম্প্রতি অনেক বিনিয়োগকারীই অনলাইন ট্রেডিং সফটওয়্যার ও মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে লেনদেন করছেন, যা প্রক্রিয়াটিকে আরও দ্রুত ও সহজ করে তুলেছে। বাজারের সব আপডেট হাতে হাতে পাওয়া যায় বলে সিদ্ধান্ত নিতেও সুবিধা হয়। তবে অভিজ্ঞরা বলেন, শুধু প্রযুক্তি নির্ভর না করে কোম্পানির আর্থিক বিবরণ, পরিচালনা কাঠামো এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দিকে নজর দেওয়া আরও জরুরি। এতে ভুল সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা কমে যায়, আর বিনিয়োগ থেকে আস্থাও বাড়ে মাশাআল্লাহ।
সব মিলিয়ে বলা যায় যে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার বর্তমানে ধীরে চলা হলেও সম্ভাবনার দ্বার এখনও খোলা। যারা তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেন তারা এই খাতে যুক্তিযুক্ত লাভের সুযোগ পাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে সঠিক নীতি, স্বচ্ছতা এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাজারকে আরও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।
Top comments (5)
Ekdome sothik bhai, market niye apnar analysis onek realistic lagse, inshaAllah ei dhoroner conscious investment sobar jonno bhalo hobe.
Ekdom shothik bhai, market niye ei dhoroner conscious analysis dorkar chilo, inshaAllah investora aro bhalo decision nite parbe. Amar o mot ei je eta positive sign.
Bhai notun investor der jonno ki kono specific sector recommend korben naki diversified portfolio diye shuru kora valo hobe?
দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মানসিকতা তৈরি হওয়াটাই আসল কথা, নাহলে বাজার একটু পড়লেই সবাই ভয়ে বিক্রি করে দেয়।
ভাই, সিলেটের বিনিয়োগকারীদের এই সচেতনতা কি পুরো বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন? আর ঝুঁকি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন দিকটা সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে বলেন একটু বুঝিয়ে বলবেন?