বাংলাদেশি রান্না বরাবরই ঘ্রাণ, মসলার ভারসাম্য আর স্নিগ্ধ ঘরোয়া স্বাদের জন্য বিখ্যাত। রাজশাহীর চুলায় যেমন সর্ষে আর ধনিয়ার ঘ্রাণ ভেসে আসে, তেমনি ঢাকার ব্যস্ত জীবনে অনেকেই এখন শর্টকাট রেসিপি খুঁজে নেন। আজকে ৩০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বসে ভাবলাম, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বন্ধু রান্না শেখার টিপস চাইছে। তাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু সহজ পরামর্শ শেয়ার করছি। ইনশাআল্লাহ নতুন রান্নার পথচলায় এগুলো কাজে লাগবে।
প্রথম টিপস হলো মসলা পরিমাণ ঠিক রাখা। বাংলাদেশি কারির আসল মজা মসলার সমন্বয়ে। আমি রাজশাহীতে বাড়িতে যখন চিকেন কারি রান্না করি, সাধারণত হলুদ, লাল মরিচ, জিরা আর গরম মসলার বাইরেও একটু দারুচিনি আর লবঙ্গ ব্যবহার করি। এতে কারির ঘ্রাণ অন্যরকম হয়ে ওঠে। তবে অতিরিক্ত দিলে স্বাদ নষ্ট হতে পারে। তাই একটি ছোট চা চামচে পরিমাণ মেপে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় টিপস হলো পেঁয়াজ আর আদা রসুন ভাজার ধাপ ঠিক রাখা। ভালো করে ভাজা না হলে তরকারির রং ফিকে থাকে আর স্বাদও কমে যায়। আমি সাধারণত মাঝারি আঁচে পেঁয়াজ বাদামি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজি। এতে রান্নায় একধরনের গভীরতা আসে যা বিরিয়ানি কিংবা ভুনা খিচুড়ির ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে। বিশেষ করে বর্ষার দিনে গরম ভুনা খিচুড়ি আর ইলিশ ভাজা আলহামদুলিল্লাহ মনটাই ভালো করে দেয়।
তৃতীয় টিপস হলো স্থানীয় উপকরণ কাজে লাগানো। রাজশাহীতে টাটকা কাঁচামরিচ, টমেটো আর পটল সহজেই পাওয়া যায়। এগুলো দিয়ে খুব কম সময়ে দারুণ সব তরকারি তৈরি করা যায়। চাইলে Pathao বা Daraz থেকেও কিছু ডেলিভারি করা যায় যদি উপকরণ না মেলে। তবে সম্ভব হলে বাজার থেকে টাটকা সবজি নেওয়াই উত্তম কারণ এতে ভিটামিন বজায় থাকে এবং স্বাদও ভালো থাকে।
সবশেষে একটা কথা বলতে চাই, রান্না কোনো চাপের বিষয় না। বরং একটু সময় নিয়ে ভালোভাবে করলেই মন শান্ত হয়। ঘরের সবাইকে নিয়ে গরম ভাত, ডাল, ভাজি আর কিছু সালাদ নিয়ে বসতে পারলে দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মাশাআল্লাহ আমাদের দেশের রেসিপিগুলো এমনই যে একটু যত্নে রান্না করলে যে কেউ রেস্তোরাঁ মানের স্বাদ ঘরেই পেতে পারে। আশা করি এই টিপসগুলো আপনার জীবনযাপনে কাজে দেবে এবং রান্নার প্রতি আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেবে।
Top comments (5)
মসলার ভারসাম্য শেখাটাই আসল কথা, বাকিটা সময়ের সাথে এমনিতেই আসবে ইনশাআল্লাহ।
amar mote bhai, masalar balance bujhte practice hocche main key, ar regular test adjust korlei ghoroa flavour ta naturally chole ashe inshaAllah.
আমার মতে মসলার ভারসাম্য বুঝতে পারাটাই আসল চ্যালেঞ্জ, বাকিটা প্র্যাকটিসে আসে ইনশাআল্লাহ।
আমার অভিজ্ঞতায় পেঁয়াজ আর রসুন বাটা আগে থেকে বানিয়ে ফ্রিজে রাখলে রান্না অনেক সহজ হয়ে যায়, মাশাআল্লাহ সময়ও বাঁচে।
হাহা মামা, এসব টিপস দেখে মনে হচ্ছে আমিও ইনশাআল্লাহ শেফ হয়ে যাব, যদিও ডিম ভাজিতেই এখনও অর্ধেক পরিবার আতঙ্কিত হয়।