আমি সিলেট সদরে কাজ করি, আলহামদুলিল্লাহ পেশার দিক থেকে ব্যস্ততা থাকলেও ব্যক্তিগত জীবনে এখন একটা বড় ধরনের টানাপোড়েন চলছে। আমার এবং আমার সঙ্গীর সম্পর্ক নিয়ে পরিবারে সাম্প্রতিক সময়ে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সেটা সামলানো সত্যিই কঠিন হয়ে গেছে। মূল সমস্যা হচ্ছে দুই পরিবারের প্রত্যাশা, ভাবনা এবং মানসিকতার পার্থক্য। প্রেমের সম্পর্ককে অনেকেই এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না, বিশেষ করে বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলে চাপটা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়।
ঘটনাটা শুরু হয় কয়েক মাস আগে, যখন আমি বাড়িতে বিয়ের ব্যাপারে কথা বললাম। আমার বাবা-মা প্রথমে অবাক হলেন, পরে ধীরে ধীরে প্রশ্ন করতে লাগলেন। তারা ভেবেছিলেন আমার বিয়ে হবে পরিবার ঠিক করে দেবে এমন কাউকে নিয়ে, যাকে তারা আগে থেকেই চেনেন। অন্যদিকে আমার সঙ্গীর পরিবারও ভিন্ন ধরনের উদ্বেগে ছিলেন, যেমন পেশাগত স্থিতি, দুই পরিবারের সামাজিক অবস্থান এবং ভবিষ্যতে বাসস্থান নির্ধারণ নিয়ে। এসব কারণে দুই পক্ষই নিজেদের মতামত নিয়ে অটল হয়ে থাকলেন, আর মাঝখানে আমরা দুজন পড়ে গেলাম চাপের ভিতর।
যেহেতু আমি চিকিৎসা পেশায় আছি, তাই ডিউটির পরেও মানসিক চাপ যেন মাথার উপর ভারী হয়ে থাকত। অনেক রাতে হাসপাতালে শিফট শেষ করে বাসায় ফিরতাম, আর ভাবতাম এই সব নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কীভাবে শান্তভাবে কথা বলা যায়। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হবে এই ভরসা নিজেকে দিতাম, কিন্তু বাস্তবে কথাবার্তা শুরু হলেই আবার উত্তেজনা বাড়ত। মাঝে মাঝে মামা বা বন্ধুদের সঙ্গে বসে চা খেতে খেতে মনটা একটু হালকা করতাম, কিন্তু সমস্যার মূল তো থেকেই যাচ্ছিল।
তবে সম্প্রতি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বুঝলাম, পরিবারের বিরোধের বড় অংশই আসে ভুল বোঝাবুঝি আর অযথা ভয়ের কারণে। তাই একটু ধৈর্য নিয়ে এবং বিনয়ীভাবে কথা বলার চেষ্টা করছি। দুই পরিবারের বড়দের মধ্যে দেখা করানোর পরিকল্পনাও করছি, যেন তারা সরাসরি কথা বলে নিজেদের দুশ্চিন্তা দূর করতে পারেন। আমি আর আমার সঙ্গী দুজনই বিশ্বাস করি যে সম্মান আর বুঝাপড়া থাকলে অনেক জটিলতা সহজে সমাধান হয়।
সব মিলিয়ে পথটা সহজ না, কিন্তু আশা ছাড়িনি। জীবনের এই পর্যায়ে বুঝলাম, প্রেম শুধু দুজন মানুষের মাঝেই সীমাবদ্ধ না, পরিবারও এর বড় অংশ। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সামনে এগোনোই আসল চ্যালেঞ্জ। দোয়া চাই, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ সবকিছু আমাদের জন্য ভালোভাবে সহজ করে দেবেন।
Top comments (5)
মনে পড়ে গেল আমার কথা ভাই, মিরপুরে আমার সম্পর্ক নিয়েও দুই পরিবারের চাপ নিয়ে বেশ টানাপোড়েনে ছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ ধৈর্য ধরে দুপক্ষকে বুঝিয়ে শেষমেশ ঠিকই হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আপনাদেরও শান্তিতে সমাধান হবে।
ভাই, পরিবারকে রাজি করাতে কতদিন লেগেছিল আপনার?
ভাই, ধৈর্য ধরুন এবং দুই পরিবারের মধ্যে একজন বিশ্বস্ত বড় মানুষকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রাখুন, ইনশাআল্লাহ সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে।
ভাই, আল্লাহ আপনাদের জন্য সহজ করে দিন, পরিবারে এমন টানাপোড়েন সামলানো সত্যিই কঠিন হয়। ইনশাআল্লাহ ধৈর্য ধরে এগোলে সমাধান বের হবে।
যাই হোক, মামা হঠাৎ মনে পড়ল বাসার পাশের দোকানদার আজকে আবার চিনি নাই বলে গোলমাল করল আলহামদুলিল্লাহ ধৈর্য ধরে চলে গেলাম।