গতকাল রাতে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার ম্যাচটা দেখলাম এবং সত্যি বলতে মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে। প্রথম দিকে আমাদের ব্যাটিংটা একটু ধীরগতির ছিল, কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে যেভাবে রান তুললো সেটা দেখে ভালো লাগলো। বিশেষ করে লিটন দাসের ইনিংসটা মাশাআল্লাহ অসাধারণ ছিল। বরিশালের ছেলে হিসেবে গর্ব লাগছে যে আমাদের এলাকার খেলোয়াড়রাও জাতীয় দলে ভালো করছে।
বোলিং নিয়ে একটু কথা বলি। তাসকিন এবং মুস্তাফিজ দুজনেই ভালো বল করেছে, কিন্তু ফিল্ডিংয়ে কিছু ভুল আমাদের ক্ষতি করেছে। দুইটা ক্যাচ মিস হয়েছে যেগুলো ধরা উচিত ছিল। এই জায়গাটায় আমাদের আরো কাজ করা দরকার। আমি নিজে ছোটবেলায় স্কুলে ক্রিকেট খেলতাম, তাই জানি ফিল্ডিংয়ে মনোযোগ কতটা জরুরি। একটা ক্যাচ পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
গতকাল আমি বরিশালের একটা চায়ের দোকানে বসে ম্যাচ দেখছিলাম। সেখানে প্রায় ত্রিশ জন মানুষ জমায়েত হয়েছিল। প্রতিটা বাউন্ডারিতে সবাই চিৎকার করছিল, উইকেট পড়লে নিস্তব্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এই যে ক্রিকেট আমাদের একসাথে করে, এটাই খেলার আসল সৌন্দর্য। চা খেতে খেতে পাশের মামা বলছিলেন, আগের দিনের খেলোয়াড়দের মতো এখন আর কমিটমেন্ট নেই। আমি অবশ্য পুরোপুরি একমত নই, কারণ এখনকার প্রেসার অনেক বেশি।
ইনশাআল্লাহ আগামী ম্যাচে আমরা আরো ভালো করবো। টিম ম্যানেজমেন্টকে বলবো, তরুণ খেলোয়াড়দের আরো সুযোগ দিন। অনূর্ধ্ব ১৯ দলে যারা ভালো করছে তাদের ধীরে ধীরে জাতীয় দলে নিয়ে আসা উচিত। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া আমরা বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবো না।
ভাইয়েরা, আপনারা কি মনে করেন? গতকালের ম্যাচ নিয়ে আপনাদের মতামত জানান। বিশেষ করে বোলিং লাইনআপে কোনো পরিবর্তন দরকার কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা করা যাক। কমেন্টে জানাবেন, আলহামদুলিল্লাহ এই প্ল্যাটফর্মে সবার সাথে খেলা নিয়ে কথা বলতে পেরে ভালো লাগে।
Top comments (4)
amar mote batting order niye still kichu rethink dorkar, especially powerplay te intent kom dekhay mane pressure pore. overall progress ache bhai, next match e inshallah aro solid start dekhbo.
আমার মতে দলের টপ অর্ডারের ধারাবাহিকতা এখনো চিন্তার বিষয়, তবে লিটনের ইনিংস দেখে আলহামদুলিল্লাহ আত্মবিশ্বাস বাড়ে যে মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ইনশাআল্লাহ ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারি।
আমিও দেখেছি ভাই, পুরো ম্যাচটা উঠানামা করছিল কিন্তু লিটন যেভাবে চাপ সামলালো সেটা দেখে আলহামদুলিল্লাহ মনে ভরসা ফিরে আসছিল। শেষ দিকে বোলিংটা আরেকটু শার্প হলে ইনশাআল্লাহ ম্যাচটাই নিয়ে নিতে পারতাম।
আমার মতে মাঝের ওভারে রান রেট বাড়ানোর এই কৌশলটাই আসলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি কাজে আসে, ইনশাআল্লাহ এভাবে চালিয়ে যেতে পারলে সামনে আরো ভালো করবে টাইগাররা।