আজকে একটা পুরনো স্মৃতি শেয়ার করতে চাই ভাইয়েরা। আমার বয়স তখন সাত বছর, বরিশালের আমাদের পুরনো বাড়িতে নানাজান প্রতিদিন ফজরের আজানের সাথে সাথে আমাকে ডাকতেন। প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হতো এত সকালে উঠতে, কিন্তু নানাজান এত ভালোবাসা দিয়ে শেখাতেন যে ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে গেল। উনি বলতেন নামাজের নিয়ম ঠিকমতো শিখলে সারাজীবন কাজে লাগবে। আলহামদুলিল্লাহ সেই শিক্ষা আজও আমার সাথে আছে।
নানাজান প্রথমে অজুর নিয়ম শেখালেন, তারপর দাঁড়ানোর ভঙ্গি, রুকু, সেজদা সব ধাপে ধাপে। উনি বলতেন নামাজে তাড়াহুড়া করা যাবে না, প্রতিটা রোকন ধীরে সুস্থে আদায় করতে হবে। সূরা ফাতিহা মুখস্থ করতে আমার দুই সপ্তাহ লেগেছিল, কিন্তু নানাজান কখনো বিরক্ত হননি। প্রতিদিন মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার অভ্যাস সেই থেকেই তৈরি হলো।
এখন নিজে বাবা হয়ে বুঝি নানাজানের সেই ধৈর্যের মূল্য কত বেশি। আমার ছেলেকেও একইভাবে শেখানোর চেষ্টা করছি, ইনশাআল্লাহ সেও এই সুন্দর অভ্যাস ধরে রাখবে। আপনাদের মধ্যে কারা ছোটবেলায় পরিবারের কাছ থেকে নামাজ শিখেছেন? সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন ভাই।
Top comments (3)
ভাই, নানাজান কত দিনে আপনাকে পুরো নামাজ শিখিয়েছিলেন?
হাহা মামা, নানাজান ডাক দিলে ঘুম ভাঙত ঠিকই, কিন্তু উঠতে উঠতে মনে হইত ফজর না উঠে আমি-ই আগে কিয়ামত দেখে ফেললাম। মজার স্মৃতি মাশাআল্লাহ!
ভাই, নানাজান কি প্রথমে সূরা ফাতিহা দিয়ে শুরু করেছিলেন নাকি ছোট ছোট সূরা আগে মুখস্থ করিয়েছিলেন?