সম্প্রতি বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে স্টার্টআপ আইডিয়া নিয়ে আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ঢাকার ধানমন্ডি, উত্তরা ও মিরপুর এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি নির্ভর ছোট ব্যবসা শুরু করার দিকে আরও ঝুঁকছেন। দেশের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়া এবং বিভিন্ন অনলাইন সেবা সহজ হওয়ার কারণে অনেক তরুণ এখন ঘরে বসেই নতুন উদ্যোগ পরিকল্পনা করছেন। আলহামদুলিল্লাহ এই প্রবণতা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আমি নিজেও ধানমন্ডিতে পড়াশোনা করতে করতে দেখেছি, অনেক বন্ধু ছোটখাটো স্টার্টআপ শুরু করে ভালো সাড়া পেয়েছেন। কেউ নিজস্ব অনলাইন কুরিয়ার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বানাচ্ছেন, কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সলিউশন দিচ্ছেন। মাশাআল্লাহ অনেকেই Pathao, bKash বা Daraz এর মতো প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস মডেল দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের মতো করে নতুন ধারণা তৈরি করছেন। শিক্ষার্থীদের এই উত্সাহ আজকাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও ইতিবাচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্টার্টআপ আইডিয়া নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে সমস্যা চিহ্নিত করে তার কার্যকর সমাধান তৈরি করা। বাংলাদেশের শহুরে জীবনে যেমন ট্রাফিক, বাসা ভাড়া, অনলাইন পেমেন্ট, হোম ডেলিভারি বা স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো মাথায় রেখে উদ্ভাবনী সমাধান তৈরি করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়ে। তরুণেরা এখন ছোট ছোট অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা সার্ভিস তৈরি করে এসব সমস্যার সমাধান দিতে চেষ্টা করছেন। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে এসব উদ্যোগ আরও পরিপক্ব হবে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন।
তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনেকেই তহবিল, অভিজ্ঞতা বা সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে সমস্যায় পড়েন। ধানমন্ডিতে বসে বন্ধুদের সাথে আলোচনা করতে দেখেছি, অনেকেই আইডিয়া শক্তিশালী হলেও তা বাস্তবায়নে দ্বিধায় ভোগেন। এজন্য সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও ইনকিউবেশন সাপোর্ট, প্রশিক্ষণ এবং মেন্টরশিপ ব্যবস্থা বাড়ানো জরুরি। এতে শিক্ষার্থীরা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে সঠিক পরিকল্পনায় সামনে এগোতে পারবেন।
বাংলাদেশের তরুণ সমাজ আজ যে উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় এগিয়ে যাচ্ছে, তা ভবিষ্যৎ অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি যথাযথ সহায়তা, বিনিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা যায়, তবে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম আরও শক্তিশালী হয়ে দেশের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। তরুণদের এই ইতিবাচক মানসিকতা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। 🌱
Top comments (5)
আমার মতে এই প্রবণতা মাশাআল্লাহ ইতিবাচক, তবে টেক স্টার্টআপগুলোর টেকসই ব্যবসা মডেল তৈরি করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে বাজার যাচাই ঠিকমতো করলে ইনশাআল্লাহ সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বাড়বে।
আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ধানমন্ডি আর মিরপুরের অনেক ভাই ছোট টেক স্টার্টআপ শুরু করে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই এগোচ্ছে, ইনশাআল্লাহ এই ট্রেন্ড আরও বাড়বে।
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, ধানমন্ডিতে কয়েকটা স্টার্টআপ ইভেন্টে গিয়ে দেখেছি যুবরা মাশাআল্লাহ দারুণ সব আইডিয়া নিয়ে কাজ করছে, সুযোগ পেলে ইনশাআল্লাহ বড় কিছু করতে পারবে।
মামা, এই স্টার্টআপ আইডিয়াগুলোর মধ্যে কোন সেক্টরটা এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে আপনি মনে করেন ইনশাআল্লাহ একটু বোঝাবেন?
এই ধরণের স্টার্টআপে শুরুতে মূল চ্যালেঞ্জগুলো কী হয় ভাই, একটু বুঝিয়ে বলবেন?