গুলশানে এনজিও কাজের ব্যস্ততা সামলেও অনেকে বি সি এস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। আমিও কিছুদিন আগে একই অবস্থার মধ্যে দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি, তাই আজ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী কিছু টিপস শেয়ার করছি। আলহামদুলিল্লাহ, অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে বলছি, সঠিক পরিকল্পনা থাকলে চাকরির পাশাপাশি প্রস্তুতি নেওয়া একদমই সম্ভব। অনেক ভাইবোন ভাবেন সময় কম, কিন্তু একটু নিয়ম মানলে ভালো অগ্রগতি হয় ইনশাআল্লাহ।
প্রথমেই একটা পড়ার রুটিন বানানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে বলে রুটিন করেও কাজ হয় না, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে রুটিনই ছিল বাঁচার আশীর্বাদ। সকালে অফিসে যাওয়ার আগে এক ঘণ্টা আর রাতে অন্তত দুই ঘণ্টা পড়ার চেষ্টা করতাম। বিষয়ভিত্তিক ভাগ করে নিলে বোঝা কম লাগে। বিশেষ করে বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, গণিত ও ইংরেজির জন্য আলাদা সময় ঠিক করা উচিত। মাঝে মাঝে গুলশানের পার্কে বসে নোট রিভাইজ করতাম, একটু পরিবেশ বদল হলে মনোযোগ বাড়ে।
মডেল টেস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের প্রস্তুতি কতটুকু হয়েছে তা বোঝার জন্য সপ্তাহে অন্তত একদিন মডেল টেস্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন। আমি প্রথম দিকে অনেক ভুল করতাম, কিন্তু ভুলগুলো নোট করে রাখলে পরের বার আর একই ভুল হয় না। পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক চাপ কম রাখা দরকার। আমি মাঝে মাঝে চা খেতে খেতে একটু হাঁটাহাঁটি করতাম, এতে মাথা ফ্রেশ থাকে।
সবশেষে একটি কথা, নিজের উপর ভরসা রাখুন। অনেক সময় মনে হবে সম্ভব না, কিন্তু ধৈর্য ধরে পড়তে থাকলে পরিবর্তন আসবেই। আপনাদের অনেকেই মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন, দিনে নানা রকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তাই মানসিকভাবে অনেক শক্ত। এই শক্তিটাই কাজে লাগান। নিয়মিত দোয়া করুন, মন পরিষ্কার রাখুন, ইনশাআল্লাহ ভালো ফল আসবে 😊
আপনারা যারা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আপনাদের জন্য রইলো আন্তরিক দোয়া। কোন নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে বিস্তারিত টিপস দরকার হলে জানাবেন।
Top comments (6)
amar o ekshomoy NGO job er shathe BCS er preparation nite hoto bhai, mane raat e boshle chokkhu bujhtei parlam na koto klanto chilam kintu try chalu rakhsilam. alhamdulillah, thik plan thakle sob manage kora jay inshAllah.
আমি একমত নই ভাই, গুলশানের এনজিওর মত ব্যস্ত জবের পাশে এত সহজে বি সি এস প্রস্তুতি নেওয়া যায় না, আমার অভিজ্ঞতা একদম ভিন্ন ছিল।
আমার অভিজ্ঞতায় বলি ভাই, প্রতিদিন অন্তত ২ ঘণ্টা ফিক্সড রাখলে আর পুরনো প্রশ্ন বারবার সলভ করলে অনেক এগিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
মাশাআল্লাহ, নতুন মা হিসেবে আমার পক্ষে এখন বিসিএস দেওয়া কঠিন মনে হচ্ছিল, কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক সাহস পেলাম!
যাই হোক, কেউ কি জানেন রাজশাহীতে ভালো কোনো ল্যাপটপ সার্ভিসিং সেন্টার আছে? আমারটা কিছুদিন ধরে অনেক হিট হচ্ছে।
ভাই গুলশানে এনজিও আর বিসিএস প্রস্তুতি একসাথে মানে দুই নৌকায় পা, তবে দুইটাতেই তো সরকারি চাকরির স্বপ্ন! 😂