১৮ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত শেয়ার বাজার নিয়ে যেটুকু পর্যবেক্ষণ করেছি, তাতে দেখা যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব এখনও কিছুটা সতর্ক। সামগ্রিকভাবে বাজারে ওঠানামা আগের মতই আছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে দৈনিক লেনদেনে কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখা যায়। যশোরে আমার পরিচিত অনেক উদ্যোক্তা ভাই এখন ব্যবসার পাশাপাশি শেয়ার বাজারেও ধীরে সুস্থে পোর্টফোলিও বানানোর চেষ্টা করছেন। তাদের অভিজ্ঞতায়ও একই কথা, বাজার পুরোপুরি অনিশ্চিত নয়, আবার পুরোপুরি স্থিরও নয়।
আমি ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ্য করেছি যে অনেক নতুন বিনিয়োগকারী দ্রুত লাভের আশায় হটাত্ কোনো শেয়ার কিনে ফেলেন, কিন্তু পরে দাম নেমে গেলে আতঙ্কে বিক্রি করেন। এ ধরনের আচরণে মূল ক্ষতি নিজেরাই ডেকে আনে। আজকাল বাজার বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞরা সাধারণত বলছেন যে ধৈর্য, সেক্টরভিত্তিক মূল্যায়ন এবং মৌলভিত্তিক শক্ত কোম্পানি বেছে নেওয়াই নিরাপদ কৌশল। বিশেষ করে ব্যাংক, টেলিকম এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর নিয়ে আলোচনা বেশি শোনা যায়, তবে সুনির্দিষ্ট কোন পূর্বাভাস দেয়া কঠিন। তাই আমি নিজেও সাধারণত মৌলভিত্তিক শক্ত কোম্পানির দিকে মনোযোগ দিই।
যশোরের ব্যবসা পরিবেশের সাথে শেয়ার বাজারকে তুলনা করলে দেখা যায় দুটো ক্ষেত্রেই ধৈর্য সবচেয়ে বড় বিষয়। আমাদের এলাকায় যেসব ভাই প্রোডাকশন বা সাপ্লাই চেইন নিয়ে কাজ করেন তারা বলেন যে বাজারের ওঠানামা সামলাতে হলে বাস্তব তথ্য, সঠিক পরিকল্পনা এবং কিছুটা ঝুঁকি নেওয়ার প্রস্তুতি থাকতে হয়। ঠিক একইভাবে শেয়ার বাজারে একদমই আবেগপ্রবণ হওয়া উচিত নয়। ইনশাআল্লাহ সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দীর্ঘমেয়াদে লাভের সম্ভাবনা বাড়ে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু কোম্পানিতে ছোট আকারে বিনিয়োগ করেছি এবং প্রতি সপ্তাহে বাজারের সাধারণ ট্রেন্ড দেখি। প্রায়ই দেখি যে গুজব বা হঠাৎ খবরের কারণে অযৌক্তিক ভাবে দাম বাড়ে বা কমে। এসব ক্ষেত্রে আমি সাধারণত অপেক্ষা করি, কারণ অভিজ্ঞতা বলছে ধৈর্য রাখলে বাজার নিজের অবস্থানে ফিরে আসে। আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত এই কৌশলেই ক্ষতির থেকে বাঁচতে পেরেছি। শেষ কথা হলো, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে হলে জ্ঞান, ধৈর্য এবং হিসেবি সিদ্ধান্ত নেওয়াই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
Top comments (6)
হাসতে হাসতে বাজার দেখছি ভাই, আমার অবস্থা এমন যে শেয়ার উঠলে আলহামদুলিল্লাহ আর নামলে মনে হয় চা বানিয়ে বসে থাকি ইনশাআল্লাহ আবার উঠবে। মামাদের এই সতর্ক আচরণও একেকটা কমেডি শো লাগে।
ভাই আমার অভিজ্ঞতায় এই ধরনের সতর্ক বাজারে ফান্ডামেন্টাল স্ট্রং কোম্পানিতে ধীরে ধীরে জমানোই ভালো কাজ দেয়।
ভাই, স্থিতিশীলতা বলছেন কিন্তু আমি এনজিও কাজের পাশাপাশি যে ছোট বিনিয়োগ করি সেখানে তো এখনো অনেক ওঠানামা দেখছি, বিশেষ করে ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য পরিস্থিতি এত সহজ না।
এই বাজার নিয়া এত বিশ্লেষণ করেন লাভ কি ভাই, বড় খেলোয়াড়রা চাইলে রাতারাতি সব বানচাল করে দেবে ইনশাআল্লাহ দেখেনই।
আমি একমত নই ভাই, কারণ সাম্প্রতিক লেনদেনে যে অনিয়ম আর হঠাৎ পতন হচ্ছে সেটা দেখে তো কোনো স্থিতিশীলতা মনে হয় না। আমার অভিজ্ঞতাও একদম ভিন্ন।
ভাই, স্থিতিশীলতা বলছেন কিন্তু গত সপ্তাহেই তো দুইদিন বড় ধস দেখলাম। এনজিও সেক্টরে কাজ করি, আমাদের অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী এখনো ক্ষতিতে আছেন।