বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের বিষয়টি আজকাল রাজনীতির বড় আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। ১২ মার্চ ২০২৫ এর প্রেক্ষাপটে দেখলে মনে হয় আমাদের সমাজে সচেতনতা বেড়েছে, কিন্তু সঠিক অগ্রগতি কতদূর হলো সে নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আমি প্রবাসে থেকেও দেশে ফেরার সময় মিরপুর আর ধানমন্ডির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখেছি অনেক তরুণী এখন নেতৃত্বের কাজ শিখছে, আলহামদুলিল্লাহ এটাকে অবশ্যই ইতিবাচক উন্নতি বলা যায়। তবে বাস্তবে অনেক বাধা এখনো রয়েছে, বিশেষ করে রাজনৈতিক দলে নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে পৌঁছানো এখনো সহজ নয়।
ব্যক্তিগতভাবে আমার অভিজ্ঞতা বললে, আমি প্রবাসী বাংলাদের কমিউনিটি ইভেন্টে কয়েকজন তরুণীকে দেখেছি যারা বাংলাদেশি রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এখানকার সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মাশাআল্লাহ, তারা বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখে এবং Facebook বা YouTube লাইভে আলোচনা চালায়। তাদের কথায় স্পষ্ট বোঝা যায় যে বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর টানাপড়েন শুধুই দেশের ভেতরের পরিবেশের কারণে নয়, বরং প্রবাসেও অনেক সাংস্কৃতিক চাপ রয়েছে। ইনশাআল্লাহ সময়ের সঙ্গে এই চাপ কমবে।
নারী ক্ষমতায়নের কথা বলতে গেলে কর্মসংস্থান আর শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল বাংলাদেশে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং প্রযুক্তি খাতে কর্মরত নারীদের সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। আইটি সেক্টরে কাজ করা এক পরিচিত আপার সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তিনি বলছিলেন যে অফিসে তার কাজকে সম্মান করা হলেও উচ্চপদে নারী প্রার্থীর প্রতি এখনো অনেক জায়গায় সংশয় থাকে। এসব পরিবর্তন আনতে হলে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকেই শক্ত ভূমিকা নিতে হবে, কারণ নীতি নির্ধারণ না বদলালে সামাজিক মানসিকতাও দ্রুত বদলাবে না।
সবশেষে, নারী ক্ষমতায়ন শুধু স্লোগান থাকলে চলবে না, মাঠের কাজ দরকার। প্রবাসে বসে আমরা অনেক সময় শুধু আলোচনা করি, কিন্তু বাস্তব উদ্যোগ নিতে পারি না। তবে সচেতনতা তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে সিলেট আর চট্টগ্রামে কিছু প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রমের কথা সম্প্রতি শুনেছি, যেখানে তরুণীরা নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন বলে জানা যায়। এই ধরনের উদ্যোগ বাড়লে ভবিষ্যতে সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়েও আরও বেশি নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রটি আরও শক্তভাবে অতিক্রম করবে বলে আশা রাখি।
Top comments (5)
ভাই, গ্রামীণ পর্যায়ে নারী ক্ষমতায়নের অবস্থা কেমন দেখলেন? শুধু শহরকেন্দ্রিক না তো?
হাহা ভাই, আমাদের রাজনীতিতে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেকে এমন সিরিয়াস হয়ে যায় যে মনে হয় পরের দিনই ইনশাআল্লাহ পুরো দেশটাই বদলে ফেলবে। মজা লাগল পোস্টটা পড়ে!
আমার খালার কথা মনে পড়ে গেল, উনি ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার হইছিলেন কিন্তু বাস্তবে সব সিদ্ধান্ত উনার স্বামী নিতেন, এইটাই তো সমস্যা ভাই।
আমার মতে সংখ্যায় নারী বাড়লেও সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের প্রকৃত ভূমিকা কতটুকু সেটাই আসল প্রশ্ন।
আমার মতে নারী ক্ষমতায়ন শুধু শ্লোগানে নয়, বাস্তবে নীতি আর সুযোগের সমান বণ্টনে প্রতিফলিত হলে তবেই টেকসই পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে শহরের অগ্রগতি গ্রাম পর্যায়ে কতটা পৌঁছাতে পারছে।