বাংলাদেশে ওয়েব সিরিজ এখন বিনোদনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে 자리 করে নিচ্ছে। ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে দেশজুড়ে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দর্শকের আগ্রহ যেভাবে বাড়ছে তা সত্যিই মুগ্ধ করার মতো মাশাআল্লাহ। বিশেষ করে রাজশাহী ও উত্তরাঞ্চলের ব্যবহারকারীদের মধ্যে গত কয়েক বছরে স্ট্রিমিং অভ্যাস ব্যাপকভাবে বেড়েছে। স্মার্টফোন ও সাশ্রয়ী ইন্টারনেট প্যাকেজের কারণে Grameenphone, Robi কিংবা Banglalink ব্যবহারকারীরা এখন খুব সহজেই ওয়েব সিরিজ দেখতে পারছেন।
ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে, আমি নিজেও রাজশাহীতে থাকি এবং কাজের শেষে রাতে চা হাতে একটা ভালো ওয়েব সিরিজ দেখলে মনটা হালকা লাগে। Pathao Food থেকে খাবার অর্ডার করে, তারপর bKash দিয়ে পেমেন্ট সেরে ড্রামা বা থ্রিলার কিছু একটা দেখা এখন নিয়মিত অভ্যাস। বিশেষ করে পরিবার নিয়ে বসে কিছু দেখার মতো কনটেন্ট বের হচ্ছে দেখে ভালো লাগে আলহামদুলিল্লাহ। যদিও শিশুদের সামনে সব কনটেন্ট দেখানো যায় না, তবুও সেন্সিবল গল্পের কিছু সিরিজ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
ঢাকাভিত্তিক নির্মাতারা বলছেন যে অনলাইন মাধ্যম এখন নতুন প্রজন্মের প্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। তাদের মতে, স্টোরিটেলিং এবং প্রোডাকশনের মান আগের তুলনায় অনেক ভালো হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত সপ্তাহে আলোচিত কিছু চলচ্চিত্র যেমন সোলজার বা প্রিন্স: ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন ঢাকা এখনো নির্মাণ পর্যায়ে থাকলেও অনলাইন দর্শকের প্রতিক্রিয়া ধারণ করে নির্মাতারা ভবিষ্যতে একই ধরনের ওয়েব সিরিজ তৈরির কথা ভাবছেন ইনশাআল্লাহ। যেহেতু এই প্রকল্পগুলো মূলত বড় পরিসরে শুট করার জন্য পরিকল্পনায় আছে, তাই এগুলোর জনপ্রিয়তা দেখে ওয়েবমাধ্যমেও একই ধরণের কাজের সম্ভাবনা বাড়ছে।
এদিকে বিজ্ঞাপনদাতারা বলছেন যে ওয়েব সিরিজ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে পরিণত হয়েছে। Daraz, বিভিন্ন টেক ব্র্যান্ড এবং স্থানীয় কোম্পানিগুলো স্পন্সরশিপে আগ্রহ দেখাচ্ছে। দর্শকের রুচি অনুযায়ী গল্প এগিয়ে নেয়া এবং পরিবারকেন্দ্রিক কনটেন্ট তৈরি করলে বাংলাদেশের বাইরে থাকা প্রবাসীদের মধ্যেও এটি জনপ্রিয় হতে পারে। রাজশাহীর তরুণ নির্মাতারাও এখন ছোট বাজেটে নিজেদের সিরিজ বানিয়ে YouTube বা বিভিন্ন অ্যাপে প্রকাশ করছেন যা সত্যিই উৎসাহজনক।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ওয়েব সিরিজ ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং সামনে আরও অনেক মানসম্পন্ন কনটেন্ট পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। দর্শক যদি মানসম্মত কনটেন্টকে উৎসাহ দেন এবং নির্মাতারা সৃজনশীলতা বজায় রাখেন, তাহলে অনলাইন বিনোদন শিল্প আগামী বছরে আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছাতে পারে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
আমার মতে এই নতুন ঢেউ দেখাচ্ছে যে বাংলাদেশে লোকাল কনটেন্টের প্রতি আগ্রহ সত্যিই বাড়ছে, আর নির্মাতারা চাইলেই আরও মানসম্মত কাজ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে আঞ্চলিক দর্শকরাই এখন ট্রেন্ড সেট করছে।
ভাই, এই নতুন ঢেউটা কি মূলত কোন প্ল্যাটফর্মগুলো লিড করছে বলতে পারবেন? রাজশাহীর দর্শকদের বাড়তি আগ্রহের কারণটা কি জানা গেছে?
আমার মতে এই নতুন ঢেউ দেখাচ্ছে দেশের কনটেন্টভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ সামনে আরও গুণগতমানের কাজ দেখা যাবে। এটা ভাবার বিষয় যে আঞ্চলিক দর্শকরাই এখন ট্রেন্ড তৈরি করছে।
হাহা ভাই, এই গতিতে চললে রাজশাহীর সবাই ইনশাআল্লাহ এক সময় নিজেদের সিরিজই বানানো শুরু করে দেবে।
আমিও গত কয়েক মাস ধরে চরকি আর হৈচৈতে বাংলাদেশি সিরিজ দেখছি, সত্যি বলতে কিছু কিছু প্রোডাকশন কোয়ালিটি দেখে অবাক হয়ে যাই মাশাআল্লাহ।