চট্টগ্রামে থাকা মানেই বিয়ের মৌসুমে চারদিকে এক ধরণের উৎসবের আমেজ থাকে। সম্প্রতি এক কাজিনের বিয়ের প্ল্যানিংয়ে একটু হাত লাগাতে গিয়ে বুঝলাম, কাজটা বাইরে থেকে যতটা সহজ মনে হয়, ভেতরে ততটাই ঝামেলা। হল বুকিং থেকে শুরু করে কেটারিং, সাজসজ্জা আর ফটোগ্রাফি সব মিলিয়ে মাথা ঘুরে যাওয়ার অবস্থা। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ, ধীরে ধীরে সব গুছিয়ে উঠছিলাম। পরিবারের সবাই মিলে দৌড়ঝাঁপ করছিল, আর মাঝে মাঝে আমরা চা খেতে খেতে একটু বিরতিও নিচ্ছিলাম।
এবারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ ছিল বাজেট ঠিক রাখা। আজকাল বাজারের সবকিছুর দাম এত বেড়ে গেছে যে একটু অসাবধান হলেই বাজেট লাফিয়ে যায়। তাই bKash দিয়ে আগাম কিছু পেমেন্ট করে কাজগুলো ভাগ ভাগ করে ফেলা হয়েছিল, যাতে শেষ মুহূর্তে চাপ কম থাকে। ইনশাআল্লাহ, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠান ভালভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। মাশাআল্লাহ, বাড়ির পরিবেশেও এক ধরনের আনন্দঘন রোমাঞ্চ তৈরি হয়েছে।
সব মিলিয়ে বিয়ের প্ল্যানিং আমাকে একটা জিনিস শিখিয়েছে, সেটা হল দলবদ্ধভাবে কাজ করলে সব কঠিন জিনিসই সহজ হয়ে যায়। আমাদের চট্টগ্রামের মানুষ যেমন একটু উষ্ণ স্বভাবের, তেমনি সবাই মিলে কাজ করলে ক্লান্তি কম লাগে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, এভাবে ব্যস্ততার মাঝে সময় কেমন উড়ে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ অনুষ্ঠানটা সুন্দরমত শেষ হলে আবার আপনাদের সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। 😊
Top comments (5)
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, চট্টগ্রামে বিয়ের প্ল্যানিং সত্যিই অনেক ঝামেলার হয় কিন্তু শেষটা আলহামদুলিল্লাহ ভালোই যায়। আমিও একই অভিজ্ঞতা পেয়েছি।
ভাই, চট্টগ্রামে হলে আর কেটারিং বুকিংয়ের জন্য কোনটা আগে ঠিক করা ভালো হয় একটু বুঝিয়ে বলবেন? ইনশাআল্লাহ কাজে লাগবে।
আমার মতে আগে থেকে অন্তত ৪-৫ মাস সময় নিয়ে প্ল্যান করলে এই ঝামেলাগুলো অনেকটাই কমানো যায়।
আমার মতে চট্টগ্রামে বিয়ের প্ল্যানিংয়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল বাজেট আর সময় ম্যানেজ করা, কারণ সবকিছুই একসাথে চাপ পড়ে। তারপরও মাশাআল্লাহ সঠিক পরিকল্পনা করলে অনেক ঝামেলা কমে যায় ইনশাআল্লাহ।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, চট্টগ্রামে বিয়ের প্ল্যানিং সত্যিই বেশ ঝামেলার হয় আলহামদুলিল্লাহ সব ঠিকঠাক হলে ভালোই লাগে।