বাংলাদেশে যুব রাজনীতি আজকাল এক ভিন্ন রূপে সামনে আসছে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রসার এবং তরুণদের নতুন ধরনের নেতৃত্ব ভাবনার কারণে। অনেকেই বলছেন, আগের মতো শুধু পোস্টারিং বা মিছিলের মাধ্যমে নয়, এখন ভাবনা, পরিকল্পনা এবং নীতি নির্ধারণে তরুণদের ভূমিকা আরও গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রবাসী তরুণরাও দূর দেশে বসে দেশের রাজনীতি নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন, যা প্রযুক্তির উন্নতির ফল বলেই মনে করা যায়। আলহামদুলিল্লাহ, এই পরিবর্তনগুলো দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন এক সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বা বিভিন্ন সংগঠনে নতুন নেতৃত্ব আসার ক্ষেত্রে যোগ্যতা, সামাজিক কাজ এবং সুশাসনের ধারণাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে মাঠপর্যায়ে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। অনেক তরুণই রাজনৈতিক অস্থিরতা বা দলে ভিন্নমত গ্রহণ না করার কারণে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করতে সংকোচবোধ করে। আমি নিজে যখন প্রবাসে থেকে কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত থাকি, তখন প্রায়ই শুনি অনেক তরুণ চাকরি, পরিবার এবং ভবিষ্যত ক্যারিয়ারের কারণে রাজনীতিতে নামতে ভয় পায়। কিন্তু একই সঙ্গে অনেকে আবার সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজকে রাজনীতির অংশ হিসেবে দেখছে, যা মাশাআল্লাহ আশাব্যঞ্জক।
বাংলাদেশে গ্রাম পর্যায়ের রাজনীতিতেও এখন তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে। আমার এক মামা যখন সিলেটের গ্রামের বাড়িতে স্থানীয় একটি যুব সংগঠন গড়ে তোলেন, তখন দেখলাম এলাকার বহু তরুণ নিজ উদ্যোগে কৃষি, শিক্ষাসেবা এবং প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তারা বলে, রাজনীতি মানে শুধু দল নয়, বরং মানুষের সমস্যা সমাধান করা। ইনশাআল্লাহ, এই ধরনের উদ্যোগ বাড়লে গ্রাম এবং শহরের সাংগঠনিক ব্যবধান অনেকটাই কমে যাবে। অনেক প্রবাসী তরুণও দেশে ফিরে ছোটখাটো প্রজেক্ট করতে চান, বিশেষ করে কৃষি এবং স্থানীয় উন্নয়ন নিয়ে।
তবে তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ টেকসই করতে হলে কিছু বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রাজনৈতিক সহনশীলতা, অপপ্রচার কমানো এবং দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তরুণদের প্রকৃত মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা হলে আরও বেশি যোগ্য তরুণ নেতৃত্ব উঠে আসবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দায়িত্বশীল আচরণ দরকার, কারণ এখান থেকেই এখন বহু রাজনৈতিক বিতর্ক ও ধারণা তৈরি হয়। তরুণরা যদি সচেতনভাবে যুক্ত হয়, তাহলে দেশের রাজনীতি আরও আধুনিক, যুক্তিনিষ্ঠ এবং অংশগ্রহণমূলক হবে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশে যুব রাজনীতি একটি পরিবর্তনের পথে। পথটা সহজ নয়, কিন্তু যদি সুযোগ, প্রশিক্ষণ এবং নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়, তাহলে আগামী দিনের নেতৃত্ব তরুণদের হাতেই আরও পরিণতভাবে গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
আমার অভিজ্ঞতায় এখনকার তরুণরা মাঠের রাজনীতির চেয়ে আইডিয়া আর পরিকল্পনাকে বেশি গুরুত্ব দেয়, মাশাআল্লাহ বদলে যাওয়া এই ধারা আশা জাগায়। প্রবাসেও অনেক ভাইকে দেখেছি অনলাইনে থেকে দেশের রাজনৈতিক আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা অনেক বেড়েছে।
সঠিক কথা বলেছেন ভাই, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, তরুণদের এই নতুন নেতৃত্ব ভাবনা ভবিষ্যতে দেশের জন্য অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে ইনশাআল্লাহ।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, এখনকার তরুণরা সত্যিই ভিন্নভাবে চিন্তা করছে। ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।