দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনায় চট্টগ্রামসহ সারা দেশে নতুন করে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। সরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতার দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু আইন কঠোর করলেই হবে না, বরং নাগরিক পর্যায়ে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ, অনেক তরুণ এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
আগ্রাবাদ এলাকায় বসবাস করতে গিয়ে আমি নিজে দেখেছি, অনেক সময় সাধারণ সেবার জন্যও মানুষকে অযথা দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। কিছু দপ্তরে ফাইল এগিয়ে নিতে গিয়ে কেউ কেউ অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার চাপের মুখে পড়ে। একবার আমার এক পরিচিত ভাই রাস্তার অনুমতি নবায়নের জন্য আবেদন করেছিলেন। কাজটি খুবই সাধারণ ছিল, কিন্তু একাধিক ব্যক্তি তাকে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে অতিরিক্ত সুবিধা দিলে কাজ দ্রুত হবে। তিনি বিষয়টি মানতে চাননি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকভাবে জমা দিয়ে অপেক্ষা করেছিলেন। যদিও সময় বেশি লেগেছিল, তবুও শেষ পর্যন্ত তিনি বৈধ প্রক্রিয়াতেই কাজ সম্পন্ন করেন, যা দেখিয়ে দেয় যে সংকল্প থাকলে দুর্নীতিকে না বলার সুযোগ থাকে।
এখন অনেক প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল সেবা চালু করছে, যা দুর্নীতি কমাতে সহায়তা করছে। আবেদন, ফি পরিশোধ বা নথি যাচাইয়ের মতো কাজ অনলাইনে হওয়ায় অপ্রয়োজনীয় যোগাযোগ কমে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, যদি এই ডিজিটাল পদ্ধতিগুলো আরও প্রসারিত হয়, তবে সেবা গ্রহণকারীদের ভোগান্তি কমবে এবং দুর্নীতির সুযোগও সীমিত হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডিজিটাল কার্যক্রম সফল হওয়ার উদাহরণ ইতোমধ্যেই দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা বা ভূমি অফিসের অনলাইন ডকুমেন্ট ব্যবস্থাপনায়।
তবে শুধু প্রযুক্তি নয়, মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তনও খুব জরুরি। মসজিদ, স্কুল, মহল্লা কমিটি বা সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো গেলে সামগ্রিক পরিবেশ আরও উন্নত হবে। আমি নিজেও আগ্রাবাদের মসজিদের এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলাম, যেখানে ইমাম সাহেব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে দুর্নীতি ইসলামসম্মত নয় এবং এটি সমাজকে দুর্বল করে। মাশাআল্লাহ, এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে নৈতিকভাবে দৃঢ় হতে অনুপ্রাণিত করে।
সার্বিকভাবে দেখা যায়, দুর্নীতি প্রতিরোধ একদিনে সম্ভব নয়, তবে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, জবাবদিহিতা, আধুনিক ডিজিটাল ব্যবস্থা এবং জনগণের অংশগ্রহণ মিলেই একটি স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ করা সম্ভব। আলহামদুলিল্লাহ, দেশের অনেক সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তনের শুরু হয়েছে, আর ভবিষ্যতে আরও উন্নতি হবে বলে আশা করা যায়।
Top comments (5)
Ekdom sothik bolechhen bhai. Shudhu ain diye hobe na, amader nijer thekeo jobabdihitar culture toiri korte hobe, Inshallah.
Ekdum thik bhai, durniti rokte shobai milei accountability culture gorte hobe inshaAllah. Ami-o tai mone kori.
সত্যি কথা বলতে, আইন কঠোর করে লাভ নাই যতক্ষণ না মানুষের মানসিকতা বদলায় - ছোটবেলা থেকেই পরিবার আর স্কুলে সততার শিক্ষা দিতে হবে।
ভাই, নাগরিক পর্যায়ে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য কংক্রিটলি কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন?
ভাই, সাধারণ মানুষ কীভাবে এই জবাবদিহিতার সংস্কৃতিতে অংশ নিতে পারবে, কোনো নির্দিষ্ট উপায় আছে কি?