২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। প্রযুক্তির ব্যবহার যেভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঠিক সেভাবেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। বিশেষ করে সরকারি সেবা, ব্যাংকিং অ্যাপ, অনলাইন কেনাকাটা এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বেশি ব্যবহৃত হওয়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়ছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার হামলার ধরন এখন আরও জটিল হয়ে উঠেছে এবং সাধারণ ব্যবহারকারীরা সচেতন না হলে সহজেই প্রতারণার শিকার হতে পারেন।
রাজশাহী অঞ্চলে আইটি সাপোর্ট হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আমি নিজেই দেখেছি অনেক ব্যবহারকারী এখনও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন না। অনেক ভাই শুধু একই পাসওয়ার্ড Facebook, bKash, ইমেইল এবং অফিসের সফটওয়্যারে ব্যবহার করেন। এতে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। কিছুদিন আগে এক গ্রাহক তার ল্যাপটপ নিয়ে আমার কাছে আসেন। তিনি জানালেন যে তার ইমেইলে অচেনা লগইন নোটিফিকেশন এসেছে এবং এরপর কিছু জরুরি ফাইল গায়েব হয়ে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ, সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়ায় ডেটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, কিন্তু ঘটনাটি তাকে বেশ দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল।
বাংলাদেশে এখন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং আউটসোর্সিং সেবা দিচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংক, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান তাদের সিস্টেম আপডেট করছে যাতে ব্যবহারকারীদের তথ্য আরও নিরাপদ থাকে। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কর্মশালা আয়োজন করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত সমাধানের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের আচরণগত পরিবর্তন সবচেয়ে জরুরি।
ব্যক্তিগত পর্যায়েও কিছু সহজ নিয়ম মানলে সাইবার ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনা যায়। যেমন নিয়মিত পাসওয়ার্ড আপডেট করা, দুই ধাপ যাচাইকরণ সক্রিয় রাখা, অচেনা লিংকে ক্লিক না করা এবং সফটওয়্যার আপডেট করে রাখা। রাজশাহীতে আমার পরিচিত এক ভাই গত সপ্তাহে তার মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপে দুই ধাপ যাচাইকরণ চালু করেছিলেন। তিনি বললেন, এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং নিরাপত্তা অনেক বেশি মনে হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আরও বেশি মানুষ এমন ব্যবস্থা নিলে প্রতারণা কমে আসবে।
পরিশেষে, প্রযুক্তির সুবিধা উপভোগ করতে হলে সাইবার নিরাপত্তার দিকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ যেভাবে ডিজিটাল সেবায় এগিয়ে যাচ্ছে, সেভাবে ব্যবহারকারীদের সচেতনতা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হওয়া খুবই দরকার। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়তে সবার সম্মিলিত উদ্যোগই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
Top comments (3)
hahaha cyber security awareness baraite hobe, ar amra sob password e "123456" dei, moja ache bhai
hahaha cyber security awareness baranor age amader password "123456" theke change kora lagbe bhai
ekdom shothik bhai, cyber security niye ei awareness dorkar chilo, inshaaAllah sobar consciousness aro barbe.