১৪ জুলাই ২০২৫, রাজশাহীর এই গরমের দিনে বসে ভাবছিলাম, জীবনে কত হিসাব মিললেও পারিবারিক হিসাবটাই যেন সবচেয়ে কঠিন। আমার আরাপুরের এক ভাইয়ের গল্পটা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। ছেলেটা তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রেমকে বিয়ে করতে চায়, আর মেয়েটাও আলহামদুলিল্লাহ পরিবারের সাথে মানিয়ে চলার জন্য সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু ছেলের পরিবার বলছে, আগে চাকরি স্থায়ী হলে তবেই বিয়ের কথা ভাববে। ছেলেটা বলছে, এখনকার দিনে চাকরি পেতে সময় লাগে, তবু সে চেষ্টা করছে ইনশাআল্লাহ সব ঠিক করতে।
মেয়ের পরিবারও চাপ দিচ্ছে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে, না হলে তারা অন্যদিকে দেখে ফেলবে। ছেলেটা মাঝখানে পড়ে গেছে, একদিকে প্রেম, অন্যদিকে পরিবার। রাজশাহীর মতো শহরে আজকাল সবাই দেখেশুনে বিয়ের ব্যাপারে একটু বেশি সচেতন, তাই দুই পরিবারের দ্বিধা বোঝা যায়। কিন্তু ভালবাসাটা মাশাআল্লাহ সত্যি বলেই মনে হয়, কারণ তারা দুজনেই সম্পর্ক ধরে রাখতে সব রকম চেষ্টা করছে। আবার ছেলেটা বলছে, যদি একটু সময় আর বিশ্বাস পেত, তাহলে বিষয়টা অনেক সহজ হয়ে যেত।
এসব শুনে মনে হলো, আমাদের সমাজে এখনো অনেক পরিবারই ছেলে আর মেয়ের ইচ্ছার চেয়ে সামাজিক মানদণ্ডকে বেশি গুরুত্ব দেয়। অথচ ভালবাসা যদি সত্যি হয়, আর দুজন যদি সত্যি চেষ্টা করে, তাহলে পরিবারেরও উচিত কিছুটা সমর্থন দেয়া। আমি ভাইটাকে বলেছি ধৈর্য ধরতে, আর পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে। আল্লাহ চাইলেই ইনশাআল্লাহ সবকিছু সুন্দরভাবে ঠিক হয়ে যাবে। নিজের গল্পটা শেয়ার করতে চাইলে মন্তব্যে লিখে ফেলেন ভাই, কথা বললে মনটা হালকা হয়।
Top comments (5)
bhai er family ki main problem ta? mane religion naki economic status?
আমার মতে, পরিবারের সাথে খোলামেলা কথা বলাটাই সবচেয়ে জরুরি, লুকিয়ে রাখলে পরে আরো জটিল হয়ে যায়।
হাহা ভাই, বাংলাদেশে প্রেম করা সোজা কিন্তু বিয়ে করতে গেলেই পরিবার থেকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার চেয়ে কঠিন ইন্টারভিউ নিতে আসে!
হাহা ভাই, পারিবারিক হিসাব তো ক্যালকুলেটরে মেলে না, এইটার জন্য আলাদা সফটওয়্যার লাগে! 😅
mama rajshahir gorom ar family pressure ekshathe hole to prem o panic mode e chole jay, hihi thanda mathay handle korlei hobe inshaAllah bhai