চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় স্থানীয় ক্রিকেট আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বর্ষার মাঝামাঝি সময় হলেও এলাকায় প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রিকেট মাঠে চলেছে উৎসবের মতো আমেজ। তরুণ খেলোয়াড় থেকে শুরু করে বড় ভাইয়েরা পর্যন্ত সকলে নতুন মৌসুমের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। এলাকাবাসী আলহামদুলিল্লাহ বেশ উৎসাহ নিয়ে ছেলেদের খেলাধুলায় অংশ নিতে দেখছেন, আর অনেকে বলছেন যে আগের কয়েক বছরের তুলনায় এখন অংশগ্রহণ অনেক বেড়েছে।
আমি নিজেও গত সপ্তাহে আমার ছেলের সাথে আগ্রাবাদ মাঠে গিয়েছিলাম। মাঠে গিয়ে দেখলাম দুই পাশে দুইটা দল নেট প্র্যাকটিস করছে, আর দর্শকেরাও বেশ ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। বাচ্চারা চিৎকার করে বল সংগ্রহ করছে, আর বড় ভাইয়েরা ব্যাটিং বোলিং নিয়ে সিরিয়াস অনুশীলন করছে। মাশাআল্লাহ এমন পরিবেশ দেখলে মনটাই ভালো হয়ে যায়। একজন কোচকে দেখলাম বলছেন যে আগামী কয়েক মাসে এলাকাভিত্তিক কয়েকটি ছোট টুর্নামেন্ট হবে, ইনশাআল্লাহ এতে অনেক নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে।
স্থানীয় ক্লাবগুলোর মধ্যেও এখন নতুন করে দল গঠনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আগ্রাবাদ স্পোর্টিং, আবু শাহমা ক্রিকেট গ্রুপ, আর কয়েকটি নতুন দল নাকি ইতিমধ্যে খেলোয়াড় বাছাই শুরু করেছে। অনেকেই কাজের ফাঁকে বা পড়াশোনার পর এসে অনুশীলন করছে। বিশেষ করে কলেজের ছেলেদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের খেলা দেখে মনে হয়েছে ঠিকমতো সুযোগ পেলে আরও বড় পর্যায়েও তারা যেতে পারবে। এলাকাবাসীও তাদের উৎসাহ দিতে প্রতিদিন মাঠে হাজির হচ্ছেন।
এদিকে দেশের বড় লিগ যেমন বাংলাদেশ ফুটবল প্রিমিয়ার লিগ গত মাসে চলমান ছিল, সেখানে বসুন্ধরা কিংস নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও, আগ্রাবাদের মানুষ নিজের এলাকার ক্রিকেট নিয়েই এখন বেশি উচ্ছ্বসিত। অনেকেই বলছেন, বড় লিগ দেখা ভালো, তবে নিজের এলাকার ছেলেদের অগ্রগতি দেখতে আলাদা আনন্দ। মাঠে দাঁড়িয়ে এক ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম, কেমন লাগে প্রতিদিন মাঠে আসতে। তিনি বললেন, খেলাধুলা মানে শান্তি, আর ছেলেদের উদ্দীপনা দেখে মন ভালো হয়ে যায়।
সব মিলিয়ে আগ্রাবাদের স্থানীয় ক্রিকেটে এক ধরনের নতুন জোয়ার তৈরি হয়েছে। আশা করা যায়, সামনে এসে আরও সংগঠিতভাবে টুর্নামেন্ট ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু হবে। ইনশাআল্লাহ এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে চট্টগ্রামের স্থানীয় ক্রিকেট থেকেই অনেক প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় উঠে আসবে।
Top comments (5)
amaroo dekhsi mama, agrabad er cricket season eishob time e asol e onek jamjamat thake, mashallah pura area te ekta festive vibe lage. last year ami o du dhap practice diyechilam inshaaAllah abar jabo.
স্থানীয় ক্রিকেট থেকেই কিন্তু জাতীয় দলে অনেক প্রতিভা উঠে আসে, এই ধরনের উদ্যোগ চালু থাকলে ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম থেকে আরো ভালো খেলোয়াড় পাবো।
হাহা আগ্রাবাদের ক্রিকেট আবার জ্বলে উঠছে দেখে মজা লাগল, এখন শুধু মামারা বল হারাইলে দোষ দেবে আল্ট্রা এজকে ইনশাআল্লাহ।
আমিও দেখেছি আগ্রাবাদের ক্রিকেট মৌসুমে এমন জমজমাট পরিবেশ হয়, বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মাঠে যে প্রাণ ফিরে আসে সেটা মাশাআল্লাহ দারুণ লাগে। গত বছরও বন্ধুদের সাথে খেলে একই উৎসবমুখর অনুভূতি পেয়েছিলাম।
হাহা বর্ষায় ক্রিকেট মানেই কাদা মাখামাখি, আবার গোসলও হয়ে গেল ফ্রিতে!