আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপারা, আজকে নামাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম নিয়ে আলোচনা করতে চাই। অনেকেই আছেন যারা নতুন নামাজ শিখছেন বা অনেকদিন পর আবার শুরু করতে চাইছেন। প্রথমে ভালোভাবে ওজু করতে হবে, এটা নামাজের পূর্বশর্ত। তারপর কেবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে নিয়ত করতে হবে। নিয়ত মনে মনে করলেই হয়, মুখে বলা জরুরি না। আল্লাহু আকবার বলে তাকবিরে তাহরিমার মাধ্যমে নামাজ শুরু হয়।
রুকু ও সেজদার সময় ধীরে সুস্থে করতে হবে, তাড়াহুড়া করা ঠিক না ভাই। প্রতিটি রুকনে কমপক্ষে তিনবার তাসবিহ পড়া উচিত। সেজদায় সাতটি অঙ্গ মাটিতে স্পর্শ করাতে হবে যেমন কপাল, নাক, দুই হাত, দুই হাঁটু এবং দুই পায়ের আঙুল। তাশাহুদে বসার সময় ডান পায়ের আঙুল কেবলামুখী রাখতে হবে। শেষে সালাম ফেরানোর সময় ডানে ও বামে মুখ ঘোরাতে হবে। 😊
ছোট একটা টিপস দিই, নামাজের আগে মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখবেন যাতে মনোযোগ না ভাঙে। ইউটিউবে অনেক ভালো ভিডিও আছে যেখান থেকে সূরা ও দোয়া শিখতে পারবেন। আলহামদুলিল্লাহ আজকাল অনেক সহজে এসব শেখা যায়। কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন, ইনশাআল্লাহ সাহায্য করার চেষ্টা করবো।
Top comments (7)
আমি অনেকদিন পর নামাজ শুরু করেছিলাম, তখন এরকম একটা গাইড পেলে অনেক উপকার হতো। আলহামদুলিল্লাহ এখন নিয়মিত পড়ি।
হাহা ভাই, নিয়ত মনে মনে করলে হয় শুনে মনে পড়ল, পরীক্ষার আগে আমিও মনে মনে এ প্লাসের নিয়ত করি ইনশাআল্লাহ, কিন্তু রেজাল্টে আসে সি প্লাস। 😅😂
দারুণ পোস্ট ভাই, নতুন যারা নামাজ শিখছেন তাদের জন্য অনেক উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
ভাই নিয়ত মুখে বলা জরুরি না এটা নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ আছে, অনেক হানাফি আলেম মুখে বলা মুস্তাহাব বলেন।
হাহা ভাই, নিয়মগুলো একদম ঠিক আছে, কিন্তু আমার ছোট ভাই তো এখনো কেবলা খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে নামাজ শুরু করে দেয় মাশাআল্লাহ! 😆
ভাই একটু অফ টপিক, কিন্তু খুলনায় এখন লোডশেডিং এত বেশি যে রাতের তাহাজ্জুদের জন্য অ্যালার্ম দিলেও ফ্যান বন্ধ থাকলে ঘুম ভাঙে আগেই।
আমার বাবা ছোটবেলায় এভাবেই ধীরে ধীরে শিখিয়েছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ আজও মনে আছে সব।