১৭ মার্চ ২০২৫ সকালে ধানমন্ডির রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিলাম, ইদানীং জীবনের ব্যস্ততায় নামাজে মনোযোগ ধরে রাখা কত কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব কয়েকদিন আগে এক আলোচনা করেছিলেন, যেখানে তিনি খুব সহজভাবে বলেছিলেন যে নামাজের নিয়ম শুধু কাজের ধাপ নয়, বরং মনকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নেওয়ার এক সুন্দর উপায়। সেই কথা মাথায় রেখেই আমি আবার ধীরে ধীরে নিয়মগুলো মনে করার চেষ্টা করলাম, আর মনে হল, আসলে বিষয়টা কঠিন নয়। ঠিকমতো মনোযোগ দিলে প্রতিটি রাকাত, প্রতিটি দোয়া এক ধরনের শান্তি এনে দেয়, আলহামদুলিল্লাহ।
সেদিন আসরের নামাজে দাঁড়িয়ে যখন সূরা পড়ছিলাম, তখন হঠাৎ মনে হল আমি যেন নতুন করে এই ইবাদতের স্বাদ পাচ্ছি। আগে অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে নামাজ পড়ে ফেলতাম, কিন্তু এখন চেষ্টা করছি ধীরেসুস্থে দাঁড়াতে, রুকু আর সিজদায় কিছুটা বেশি খুশু রাখতে। মসজিদ থেকে বেরিয়ে দেখি এলাকার কয়েকজন ভাইও একই অনুভূতির কথা বলছিলেন, আর সেটা শুনে ভালোই লাগল। ইনশাআল্লাহ, নিয়মগুলো ঠিকভাবে মানলে আমাদের নামাজ যেমন সুন্দর হবে, তেমনি মনেও আসবে এক ধরনের স্থিরতা।
আমার মনে হয়েছে, নামাজের নিয়ম শেখা মানে শুধু বইয়ের কথা মুখস্থ করা নয়, বরং নিজের ভেতরের অবস্থাকে ঠিক করা। প্রতিদিনের ব্যস্ত ঢাকায় একটু সময় থেমে দাঁড়ানো, হাত তুলেই আল্লাহর কাছে মন খুলে দোয়া করা সত্যিই এক অন্যরকম প্রশান্তি দেয়। আমরা যারা কাজ, পরিবার আর নানা দৌড়ঝাঁপের মাঝে আছি, তাদের জন্য এই ছোট্ট মুহূর্তগুলো অনেক বড় একটা আশীর্বাদ। মাশাআল্লাহ, আল্লাহ চাইলে সবাই নিয়মিতভাবে এই শান্তি খুঁজে পাবে।
Top comments (4)
Bhai ekta kotha, Sylhet e amader masjid er imam saheb o erokom alochona koren, kintu amar matha ghure jacche notun phone ta ki nibo - realme naki redmi? Keu bolte parben?
আরেহ ভাই, এসব গল্প শুনে কেউ বদলায় নাকি, কাজের বেলায়ই দেখি সবাই গায়েব হয়ে যায়। ইনশাআল্লাহ নিজেরাই আগে ঠিক হলে তারপর নসিহত দেন।
hahaha mama ami o dhaner modhye chinta korte korte namaz e focus hariye feli, kintu inshaAllah ager moto mon diye parbo, mashaAllah post ta moja laglo!
মনে পড়ে গেল আমার কথা, ধানমন্ডি না হলেও বনানীতে হাঁটতে হাঁটতে ঠিক এমন ভাবনাই একদিন মাথায় এসেছিল ভাই, আর ইমাম সাহেবের একটা ছোট নসিহতেই মনোযোগ ফিরে পেয়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ।