ঢাকার উত্তরা এলাকায় বড় হয়ে আমি সবসময় দেখেছি যে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক সময় জাতীয় রাজনীতির তুলনায় কম থাকে। কিন্তু বাস্তবে আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাই। রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ, বাজার ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা বা এমনকি আমাদের এলাকার মাঠের অবস্থা পর্যন্ত নির্ভর করে এই নেতৃত্বদের কাজের উপর। তাই সম্প্রতি এলাকায় আড্ডায় বসে অনেকেই যখন বলছিলেন যে স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়ার বিশেষ দরকার নেই, তখন সত্যি বলতে একটু খারাপই লাগলো ভাই।
উত্তরায় আমি যে ওয়ার্ডে থাকি সেখানে কিছুদিন আগে এক চাচার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দেখি উনি পুরো হতাশ। উনার ভাষায়, ভোট দিলেও নাকি কাজের কাজ কিছু হয় না। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা একটু আলাদা। আগের এক নির্বাচনে আমাদের ব্লকের কয়েকজন মিলে প্রার্থীর সঙ্গে বসে ড্রেনের সমস্যা তুলে ধরেছিলাম। ভোটের পর দেখা গেল ধীরে ধীরে কাজ শুরু হয়েছে। হয়তো পুরোটা একসাথে হয়নি, কিন্তু পরিবর্তন যে এসেছে তা চোখে পড়ার মতো। আলহামদুলিল্লাহ, কমিউনিটির চাপ আর অংশগ্রহণ থাকলে ফল পাওয়া সম্ভব এটা তখনই বুঝেছি।
আজকাল তরুণদের মধ্যে স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে আরেক ধরনের হতাশা কাজ করে। অনেকেই মনে করে এখানে নাকি স্বচ্ছতা কম। কিন্তু সত্যি বলতে কি, স্বচ্ছতা তখনই বাড়বে যখন আমরা নিজেরাই সক্রিয় থাকবো। প্রার্থীদের কাছে জবাব চাইতে হবে, সম্পদের ব্যবহার দেখতে হবে, এলাকার সমস্যাগুলো লিখিতভাবে তুলে ধরতে হবে। ইনশাআল্লাহ এসব করলে পরিবর্তন আরও দ্রুত হবে। উত্তরা বা মিরপুরে যেসব এলাকায় তরুণরা একত্রে কাজ করে এমন উদ্যোগ নিয়েছে, সেখানে ইতিবাচক পরিবর্তনের গল্পও শুনেছি।
স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে আরেকটা বড় বিষয় হলো আস্থার সংকট। অনেকে মনে করেন রাজনৈতিক পরিবেশ সবসময় উত্তেজনাপূর্ণ থাকে। কিন্তু আমাকে অনেক সিনিয়র ভাই বলেছিলেন, শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে পরিণত করবে। পরিবার, প্রতিবেশী, এমনকি বন্ধুরাও যদি ভোটের দিনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলে, তাহলে পরিবেশও ভালো থাকে। আমি নিজেও গত কয়েকবার ভোট দিতে গিয়ে দেখেছি মানুষজন বেশ শান্তভাবেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
শেষ পর্যন্ত বিষয়টা খুব সাধারণ। আমাদের রাস্তাঘাট যেমন আমরা ব্যবহার করি, ভোটের অধিকারও ঠিক তেমনই আমাদের। ব্যবহার না করলে এর মূল্য ধীরে ধীরে কমে যাবে। তাই আমার মত, স্থানীয় নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়াই উচিত। সমাজ বদলায় ধীরে ধীরে, কিন্তু অংশগ্রহণই সেই পরিবর্তনের প্রথম ধাপ। মাশাআল্লাহ আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম যদি একটু বেশি আগ্রহ দেখায়, তাহলে ভবিষ্যতে স্থানীয় সরকার আরও শক্তিশালী ও কার্যকর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
Top comments (5)
ভাই, মানুষকে স্থানীয় নির্বাচনে উৎসাহী করতে সবচেয়ে কার্যকর উপায়টা আপনার মতে কী হতে পারে ইনশাআল্লাহ? Local level এ আগ্রহ এত কমে কেন গেল বুঝতে চাই।
Ekdom thik kotha bhai, local election er importance onek beshi kintu amra eta bujhi na. Inshallah awareness barale participation o barbe.
ভাই, মানুষ কেন স্থানীয় নির্বাচনে আগ্রহ কম দেখায় বলে আপনি মনে করেন, একটু বুঝিয়ে বলবেন ইনশাআল্লাহ?
ভাই, মানুষকে স্থানীয় নির্বাচনে আগ্রহী করতে হলে মূল বাধাটা কোথায় বলে আপনি মনে করেন? ইনশাআল্লাহ সমাধানটা বুঝলে উপকার হবে।
ভাই, মানুষ স্থানীয় নির্বাচনে আগ্রহী না হওয়ার পেছনে আসলে সবচেয়ে বড় কারণটা কী বলে আপনি মনে করেন? একটু বুঝিয়ে বলবেন?