বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেক বড় একটি যাত্রা, তবে সঠিক পরিকল্পনা থাকলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। প্রথমেই প্রিলিমিনারি সিলেবাস ভালোভাবে বোঝা জরুরি, কারণ সাম্প্রতিক সময়ে প্রশ্নের ধরন অনেকটাই বিশ্লেষণমূলক হচ্ছে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে রুটিন অনুযায়ী বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান পড়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বিষয়গুলো জানতে প্রতিদিন খবর পড়া বা নির্ভরযোগ্য অনলাইন সোর্স ব্যবহার করা খুবই উপকারী। নিয়মিত মডেল টেস্ট দিলে নিজের অবস্থান বোঝা যায় এবং সময় ব্যবস্থাপনা উন্নত হয়।
লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে উত্তর লেখার অভ্যাস গড়ে তোলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ভাইবোন শুধু পড়েন কিন্তু লিখে অনুশীলন করেন না, ফলে পরীক্ষার হলে সময় কম পড়ে যায়। প্রতিটি বিষয় থেকে ছোট ছোট টপিক নিয়ে প্রতিদিন ১ থেকে ২টা করে উত্তর লিখে প্র্যাকটিস করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। একই সঙ্গে মানসিক চাপ কমাতে মাঝেমধ্যে বিরতি নিয়ে হাঁটা, চা খাওয়া বা পরিবারে সময় দেওয়াও উপকারী। আলহামদুলিল্লাহ, এখন অনলাইনে অনেক মানসম্মত রিসোর্স পাওয়া যায়, যা দিয়ে নিজের প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করা যায়।
ভাই, মুখস্থের পাশাপাশি বোঝার ভিত্তিতে পড়া সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। নিয়মিত রিভিশন না করলে শেখা বিষয়গুলো দ্রুত ভুলে যেতে পারেন, তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন রিভিশনের জন্য রাখুন। আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি প্রস্তুতি নেন, তাহলে ছোট ছোট অধ্যায় ভাগ করে পড়লে চাপ কমবে। ধৈর্য, মনোযোগ ও আল্লাহর ওপর ভরসা থাকলে ইনশাআল্লাহ সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। মিরপুর, ধানমন্ডি বা অনলাইনভিত্তিক কোচিংয়ের নোট ব্যবহার করতে পারেন, তবে অবশ্যই নিজের বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বাছাই করবেন।
Top comments (3)
Amar preparation er somoy routine mene chola shob cheye boro challenge chilo, kintu consistent thakle alhamdulillah result ashe bhai.
ভাই, প্রিলিমিনারি অংশে কোন কোন টপিক আগে কভার করলে বেশি কাজে দেবে বলে আপনি মনে করেন? আর রুটিন তৈরির জন্য কোনো সহজ টিপস থাকলে জানাবেন কি?
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ভাই, বিশেষ করে বিশ্লেষণমূলক প্রশ্নের প্রস্তুতির দিকটা অনেকেই অবহেলা করে কিন্তু আসলে এখানেই আলাদা দক্ষতা তৈরি হয় ইনশাআল্লাহ।