মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি কৌতূহলী হয়ে উঠছে। ৩০ আগস্ট ২০২৫ অনুযায়ী দেখছি সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে YouTube আর Facebook এ মহাকাশবিষয়ক ভিডিওগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকাতেও অনেক তরুণ-তরুণীকে দেখি রাতে ছাদে উঠে টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশ দেখতে। আমি নিজেও মাঝে মাঝে ছাদে উঠে তারার দিকে তাকিয়ে থাকি, বিশেষ করে আকাশ পরিষ্কার থাকলে মনে হয় পুরো মহাবিশ্ব যেন হাতের নাগালে। আলহামদুলিল্লাহ, প্রযুক্তির কারণে এখন বাড়িতে বসে মহাকাশ সম্পর্কে জানতে অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে।
মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি আমার ব্যক্তিগত আগ্রহটা শুরু হয়েছিল স্কুলজীবনে। একবার বিজ্ঞান মেলায় একটা ছোট টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদের গর্তগুলো দেখেছিলাম। তখনই অবাক লেগেছিল, এত সুন্দর জিনিস আমরা প্রতিদিন মাথার উপর দেখিও কিন্তু আসল রূপটা বুঝে উঠতে পারি না। এখন তো নানা ধরনের মোবাইল অ্যাপ আছে, যেগুলো দিয়ে আকাশের যে কোনও তারা কোন গ্রহ বা কোন নক্ষত্রমণ্ডলের অংশ, তা সহজেই জেনে ফেলা যায়। আমি মাঝে মাঝে Pathao বা bKash দিয়ে টেলিস্কোপের ছোটখাটো অ্যাকসেসরিজ কিনেও দেখি, কারণ এখন অনলাইন শপগুলোতে এসব জিনিস পাওয়া সহজ হয়েছে।
মহাকাশ বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ আমার কাছে হল অজানার অনুসন্ধান। মহাবিশ্ব কত বড়, কোথা থেকে শুরু, কোথায় শেষ, এসব প্রশ্ন আমাদের কৌতূহলকে বাড়িয়ে তোলে। এখনকার তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকেও আরও বেশি মহাকাশ গবেষক তৈরি হবে, যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে পারবে।
তবে আমার মনে হয় মহাকাশ বিজ্ঞানের জ্ঞান সাধারণ মানুষের মধ্যেও আরও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। স্কুল-কলেজ পর্যায়ে যদি শিক্ষার্থীদের হাতে টেলিস্কোপ তুলে দেওয়া যায় বা নিয়মিত স্কাই-ওয়াচিং প্রোগ্রাম করা যায়, তাহলে আরও অনেকের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হবে। নাসিরাবাদের কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আমরা মাঝে মাঝে ছোটখাটো আয়োজনে আকাশ দেখি, আর দেখলেই নতুন কিছু শেখা যায়। মহাকাশ বিজ্ঞান আসলে শুধু গবেষকদের ক্ষেত্র নয়, বরং মানুষের মনকে প্রসারিত করার এক অসাধারণ মাধ্যম।
সব মিলিয়ে বলা যায়, মহাকাশ বিজ্ঞান আমাদের চিন্তাভাবনাকে বড় করে, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয় আর জীবনের নানা প্রশ্নকে আরও গভীরভাবে ভাবতে শেখায়। মাশাআল্লাহ, এই আগ্রহটা আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে বাড়ছে দেখে ভালো লাগে। ভবিষ্যতে যদি নিয়মিত মহাকাশবিষয়ক অনুষ্ঠান, ক্লাব বা কর্মশালা করা যায়, তাহলে বাংলাদেশও মহাকাশ গবেষণায় আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
আমার মতে প্রযুক্তির সহজলভ্যতা আর সোশ্যাল মিডিয়ার ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট মানুষকে মহাকাশ নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শিখিয়েছে, মাশাআল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে ভবিষ্যতে আরও কত তরুণ এই আগ্রহকে গবেষণায় রূপ দেবে ইনশাআল্লাহ।
একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই। ইউটিউবে মহাকাশের ভিডিওগুলো দেখলে সত্যিই মনে হয় কত কিছু জানার বাকি আছে, মাশাআল্লাহ।
Ekdom thik koisen bhai, amio dekhsi ajkal space science niye interest onek beshie. YouTube e space related video gulo khub popular hoye geche.
হাহা ভাই, চট্টগ্রামের ছাদে টেলিস্কোপ থাকলে তো রাতের আকাশ না, পাশের বাসার শুকাতে রাখা কাপড়ই বেশি দেখা যায় মনে হয়। মজার পোস্ট, চালিয়ে যান ইনশাআল্লাহ!
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এমন সচেতন আলোচনা সত্যিই দরকার। ইনশাআল্লাহ সবাই মিলে ভালো কিছুর আশা করি।