ঢাকার উত্তরা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পড়তে রাতে বাসায় ফিরে টিভি শো দেখাটা আমার এক ধরনের রুটিন হয়ে গেছে। বিনোদনের দুনিয়ায় এখন যে বৈচিত্র্য আর প্রতিযোগিতা চলছে, তাতে দর্শকদের আগ্রহও আগের তুলনায় অনেক বেশি ছড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে স্টোরিটেলিং এবং ভিজ্যুয়াল মানের দিক থেকে এখনকার টিভি শো গুলো সত্যিই বদলে যাচ্ছে, যা দেখে মাশাআল্লাহ ভালোই লাগে। আমার আশেপাশের অনেক বন্ধুই বলে যে ব্যস্ত দিনের শেষে একটা ভালো শো মানসিকভাবে রিল্যাক্স হতে সাহায্য করে।
সম্প্রতি প্রায় পনেরো দিন আগে মুক্তি পাওয়া তাণ্ডব সিনেমাটা নিয়ে দেশজুড়ে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, তার একটা প্রভাব টিভি শো দর্শকদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। যেহেতু এটা বাংলাদেশের প্রথম সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স হিসেবে আলোচনায় এসেছে, তাই অনেকে বলছেন ভবিষ্যতে টিভি কনটেন্টেও এমন ইউনিভার্স স্টাইলের গল্প দেখা যেতে পারে। ইনশাআল্লাহ যদি স্থানীয় শিল্পীরা এই ধারা বজায় রাখতে পারেন, তাহলে দর্শক শুধু সিনেমা নয়, টিভি শোতেও নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা পাবে।
অন্যদিকে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের কারণে এখন টিভি শো দেখার অভ্যাসেও পরিবর্তন এসেছে। উত্তরা এলাকায় আমার ব্যাচমেটদের দেখি অনেকে মোবাইলেই পুরো সিজন দেখে ফেলে, আবার কেউ কেউ পুরনোভাবে টিভিতে পরিবারের সঙ্গে দেখে। তবে একটা জিনিস সাধারণভাবে লক্ষ্য করা যায়, ভালো গল্প থাকলে সেটা দর্শকদের ধরে রাখে। ব্যস্ত সময়ে মানুষ চায় এমন শো, যেখানে বাস্তব জীবনের চাপ থেকে বের হয়ে কিছুটা বিনোদন পাওয়া যায়।
দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায় তারা এখন আগের চেয়ে বেশি সচেতন। কোনও শো যদি মানসম্মত না হয়, সাথে সাথেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়ে যায়। ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে দেখি কেউ প্লট নিয়ে কথা বলছে, কেউ বা অভিনয় নিয়ে সমালোচনা করছে। এই আলোচনা আসলে পুরো ইন্ডাস্ট্রির জন্যই ভালো, কারণ এতে নির্মাতারা বুঝতে পারেন দর্শক কি চাইছে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের দেশের টিভি ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে এগোচ্ছে, এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো কনটেন্ট আসবে বলেই মনে হয়।
সব মিলিয়ে বর্তমান সময়টা টিভি শো প্রেমীদের জন্য অনেক ইতিবাচক। গুণগত মান বাড়ছে, নতুন ধারণা আসছে এবং দর্শকের অংশগ্রহণও বেড়েছে। উত্তরা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে আলোচনাগুলো চলছে, তা দেখেই বোঝা যায় টিভি বিনোদনের প্রতি মানুষের আগ্রহ কখনও কমেনি, বরং দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হচ্ছে।
Top comments (0)