Banglanet

নিশা হোসেন
নিশা হোসেন

Posted on

সহজে মানিয়ে নেওয়া যায় এমন ডায়েট প্ল্যানের কিছু কার্যকর টিপস

১০ নভেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী অনেকেই ব্যস্ত জীবনে ডায়েট প্ল্যান ঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারছেন না। বিশেষ করে আমাদের ঢাকার জীবনে কাজের চাপ, ট্রাফিক আর রুটিনের ঝামেলায় ঠিকমতো খাবারের সময় বজায় রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমি উত্তরা থেকে কাজ করি, এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে সঠিক ডায়েট মানে কম খাওয়া নয়, বরং বুঝে খাওয়া। তাই আজ কিছু সহজ, বাস্তবমুখী টিপস শেয়ার করলাম যা আমার নিজের রুটিনেও বেশ কাজে দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।

প্রথমত, প্রতিদিনের খাবারের সময় ঠিক করা খুবই জরুরি। সকাল, দুপুর আর রাতের খাবার নির্দিষ্ট সময়ে না খেলে শরীরের মেটাবলিজম অস্থির হয়ে যায়। আমি নিজের ক্ষেত্রে অফিসে যাওয়ার আগে হালকা নাশতায় ওটস বা ডিম রাখতে চেষ্টা করি, সাথে এক কাপ চা। আপনি চাইলে কলা, আপেল বা দইও রাখতে পারেন। এতে পেট ভরাট থাকে এবং অযথা ফুচকা বা চটপটি খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। ইনশাআল্লাহ, নিয়মিত সময় মেনে খেলে শরীর নিজে থেকেই ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে শুরু করে।

দ্বিতীয়ত, কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিন বাড়ানো খুবই কার্যকর। আমাদের দেশে ভাতের প্রতি আলাদা টান থাকে, কিন্তু ভাতের পরিমাণ একটু কমিয়ে ডাল, মাছ, মুরগি বা ডিম বাড়ালে শক্তিও থাকে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্যক্তিগতভাবে ইলিশ বা তেল বেশি এমন মাছ প্রতিদিন না খেয়ে সপ্তাহে ১ বার রাখার চেষ্টা করি। দিনে অন্তত দুই ধরনের সবজি রাখলে হজম ভালো হয় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। চাইলে দুপুরের খাবারে সামান্য ব্রাউন রাইসও রাখতে পারেন।

তৃতীয়ত, পানি খাওয়ার অভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেকেই সারাদিন ব্যস্ততায় পানি খেতে ভুলে যাই। আমি এখন আমার ফোনে রিমাইন্ডার দিয়ে রেখেছি, যাতে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত অল্প হলেও পানি খাই। এতে শরীর ডিটক্স হয় এবং ত্বকও পরিষ্কার থাকে। যারা অফিস করেন, তারা চাইলে নিজের টেবিলে বড় একটি পানির বোতল রেখে দিতে পারেন। Pathao Food, Daraz বা বাইরের খাবারের ওপর বেশি নির্ভর না করে বাড়ির খাবারকে অগ্রাধিকার দিলে স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকে।

সবশেষে, স্থায়ী ডায়েট প্ল্যান মানে কঠোর নিয়ম নয়, বরং এমন রুটিন তৈরি করা যা দীর্ঘমেয়াদে বজায় রাখা যায়। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন হালকা হাঁটাহাঁটি বা জগিং করলে ডায়েটের প্রভাব আরও ভালোভাবে কাজ করে। আমি উত্তরা লেকের পাশে সপ্তাহে কয়েক দিন হাঁটি, এতে শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকে, মাশাআল্লাহ। ইনশাআল্লাহ আপনি যদি ধীরে ধীরে এসব টিপস রুটিনে নেন, তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

Top comments (0)