এখনকার দিনে ঢাকা থেকে শুরু করে পুরো বাংলাদেশেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে আগ্রহ অনেক বেড়েছে। স্মার্টফোনে ছবি তোলা, অনলাইনে কেনাকাটা করা, এমনকি শিশুদের পড়াশোনার সাপোর্ট পর্যন্ত সব জায়গাতেই এআই ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে। আজ ১ জুন ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে বলা যায় যে ভবিষ্যতে এআই আমাদের জীবনে আরও বড় ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ। এই পোস্টে সহজভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি এআই এর ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে এবং কীভাবে আমরা এটিকে কাজে লাগাতে পারি।
প্রথমত, স্বাস্থ্যসেবা খাতে এআই এর ব্যবহার খুব দ্রুত বাড়ছে। ঢাকা বা চট্টগ্রামের বড় বড় হাসপাতালে ইতিমধ্যে রোগ নির্ণয়ের কাজে স্মার্ট সিস্টেম ব্যবহার শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে এআই আরও উন্নতভাবে ডাক্তারদের সহায়তা করবে যাতে রোগের পূর্বাভাস দ্রুত জানা যায়। একজন নতুন মা হিসেবে আপনি বেবির স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত থাকলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য অ্যাপ ভবিষ্যতে আরও সহজভাবে এআই ব্যবহার করে পরামর্শ দিতে পারবে। অবশ্যই এগুলো সাপোর্ট হিসেবে এবং চিকিৎসকের পাশাপাশি ব্যবহারের জন্য।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষা এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টে এআই বড় পরিবর্তন আনবে। এখন অনেকেই YouTube বা বিভিন্ন অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে শেখেন। কয়েক বছরের মধ্যে ব্যক্তিগত শেখানোর জন্য এআই টিউটর আরও জনপ্রিয় হবে। আপনার শিশুও বড় হলে এআই ভিত্তিক ব্যক্তিগত লার্নিং অ্যাপ থেকে উপকৃত হতে পারবে মাশাআল্লাহ। শেখার গতি অনুযায়ী সাজানো পাঠ, কঠিন বিষয় সহজভাবে ব্যাখ্যা করা এবং প্র্যাকটিস প্রশ্ন তৈরি করা আরও সুবিধাজনক হবে।
তৃতীয়ত, দৈনন্দিন কাজেও এআই অনেক সুবিধা দেবে। Pathao, Daraz, bKash এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলো আরও স্মার্ট হয়ে উঠবে। এই অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর অভ্যাস অনুযায়ী সাজেশন দেবে, সিকিউরিটি বাড়াবে এবং দ্রুত সেবা দেবে। গৃহিণী বা নতুন মায়েদের জন্য বাজার করা, সময় ম্যানেজ করা, এমনকি রান্নার রেসিপি সাজেশনের ক্ষেত্রেও স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট বড় সহায়ক হবে। একটি সাধারণ ভয়েস কমান্ডে কাজ হয়ে যাবে অনেকটাই।
এআই বুঝতে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
• নিরাপত্তা এবং ডেটা প্রাইভেসি গুরুত্ব দিয়ে দেখা
• নতুন প্রযুক্তি শেখার অভ্যাস গড়ে তোলা
• শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহারে ভারসাম্য বজায় রাখা
• এআই কে সাহায্যকারী হিসেবে ব্যবহার করা, নির্ভরশীলতা নয়
সব মিলিয়ে এআই এর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং উপকারী। তবে সবকিছুর মতোই সচেতনতা এবং সঠিক ব্যবহারের প্রয়োজন আছে। ইনশাআল্লাহ যদি আমরা প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারি তাহলে এআই আমাদের জীবনে সুবিধা, নিরাপত্তা এবং সময় বাঁচানোর বড় সুযোগ তৈরি করবে। 😊
Top comments (5)
আমার মতে এআই শিখতে এখনই শুরু করা উচিত, নাহলে আগামী ৫ বছরে জব মার্কেটে পিছিয়ে পড়তে হবে।
Ekdom thik koisen bhai, AI er future ta amader deshe onek boro. Inshallah amra o pichiye thakbo na.
সঠিক কথা বলেছেন ভাই, ইনশাআল্লাহ এআই আমাদের দেশের জন্যও অনেক সুযোগ নিয়ে আসবে।
AI er sathe sathe amader skill development o update rakha dorkar, nahole job market e pichiye porbo bhai.
হাহা ভাই, এআই এমনভাবে আগাইতেছে যে আগামীতে ইনশাআল্লাহ রিকশাওয়ালা মামাও বলবে "ভাই, ভাড়া আগে এআই হিসাব দিছে"!