১৫ জুলাই ২০২৫, ময়মনসিংহ থেকে আমি রাজনৈতিক আলোচক হিসেবে প্রায়ই শুনি যে দেশের মানুষ আজকাল গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে আগের চেয়ে বেশি কথা বলছে। সাম্প্রতিক সময়ে নাগরিক অধিকার, মতপ্রকাশের সুযোগ এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব আলোচনা হয়, সেগুলোতে বোঝা যায় যে মানুষ তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশের পরিবেশকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আলহামদুলিল্লাহ, অন্তত এতটুকু সচেতনতা তৈরি হয়েছে যে নাগরিক অধিকার নিয়ে কথা বলা এখন আর কারও কাছে অস্বাভাবিক মনে হয় না।
ময়মনসিংহে tea stall বা কলেজের সামনে তরুণদের আড্ডায়ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে আসে। অনেকে আমাকে বলে যে তারা আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া যেমন Facebook বা YouTube এ বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠান দেখে এবং সেগুলো তাদের চিন্তাভাবনায় বড় প্রভাব ফেলে। তবে একই সঙ্গে তারা উদ্বেগও জানায় যে কোনো কোনো সময়ে নাগরিক মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা অনুভূত হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বহুবার দেখেছি যে মানুষ অনেক সময় নিজের মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে সতর্ক থাকে, বিশেষ করে সংবেদনশীল রাজনৈতিক প্রসঙ্গ তুললে।
আজকের বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সবচেয়ে বেশি উঠে আসে ন্যায়বিচার, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা। সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বা নাগরিক সেবার মান নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিতর্ক হয়েছে, যদিও সেসব নিয়ে সুনির্দিষ্ট তারিখ বা ঘটনার কথা উল্লেখ করা কঠিন। তারপরও মানুষের অভিজ্ঞতা শুনলে বোঝা যায় যে সমাজের সব শ্রেণির মানুষই চায় একটি ন্যায়ভিত্তিক ও অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ। ইনশাআল্লাহ, যদি সব পক্ষ ইতিবাচক ভূমিকা রাখে, তাহলে এই প্রত্যাশা পূরণ হওয়া অসম্ভব নয়।
আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে গণতন্ত্রের আলোচনায় গ্রাম থেকে শহর সবাই অংশ নিতে শুরু করেছে, বিশেষ করে ময়মনসিংহের পাশের গ্রামগুলোতে যে উঠান বৈঠক হয় সেখানে মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করে। অনেকে জানতে চান কীভাবে তাদের ভোট, মতামত ও নাগরিক অধিকার আরও কার্যকর হতে পারে। Pathao বা bKash এর মতো সেবায় যেমন নাগরিক জীবন সহজ হয়েছে, মানুষ ঠিক সেভাবেই চায় রাজনীতিতেও স্বচ্ছতা ও সহজলভ্যতা। মাশাআল্লাহ, এই পরিবর্তিত মানসিকতা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক সংকেত বহন করে।
সব মিলিয়ে বলা যায় যে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বর্তমান আলোচনাগুলো শুধু রাজনৈতিক পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকছে না, বরং তা মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও জায়গা করে নিচ্ছে। আজকের বাংলাদেশে যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে, তা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আরও পরিণত করে তুলতে পারে। মানুষের প্রত্যাশা স্পষ্ট, তারা চায় একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ যেখানে মতপ্রকাশের অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা সম্মানিত হবে। ইনশাআল্লাহ দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এসব প্রশ্নেরও সমাধান আসবে।
Top comments (4)
হাহা ভাই, গণতন্ত্র নিয়ে এত আলোচনা চলছে যে চায়ের দোকানের মামারাও এখন নিজেদেরকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলে দাবি করে মাশাআল্লাহ।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, মানুষের মৌলিক অধিকার আর গণতন্ত্র নিয়ে আগ্রহ বাড়াটা সত্যিই ভালো লক্ষণ আলহামদুলিল্লাহ।
Amar mote, manush jokhon nijer odhikar niye socheton hoy, seita aslei positive sign - tobe ei awareness ke sustainable movement e rupantor kora tai boro challenge.
amar mote bhai, manusher ei barte thaka chetona dekhai je accountability niye chinta barse, ar ei dhoroner charcha inshaAllah real change er path banate pare.