Banglanet

সাধারণ রোগের লক্ষণ চেনা এখন আরও জরুরি

৫ জুন ২০২৫, সিলেট থেকে জানানো যাচ্ছে যে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সাধারণ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ে চিকিৎসকরা নতুন করে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক রোগেরই প্রাথমিক কিছু সংকেত থাকে, যা মানুষ ঠিকমতো বুঝতে না পারলে রোগ জটিল আকার নিতে পারে। আমাদের দেশের আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ধরন বদলে যাওয়ায় এখন অনেকেই হালকা উপসর্গকে অবহেলা করেন। ফলে পরিস্থিতি কখনো কখনো গুরুতর হয়ে ওঠে, যা এড়ানো সম্ভব ছিল।

বিশেষ করে মৌসুমি জ্বর, সর্দি ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এখন বেশ সাধারণ। চিকিৎসকদের বক্তব্য, যদি কারও কয়েকদিন ধরে জ্বর ওঠানামা করে, গলা ব্যথা থাকে, বা অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভূত হয়, তাহলে দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। সিলেটের এক চিকিৎসক জানালেন যে অনেক রোগী প্রথম দিকে শুধু মাথাব্যথা বা শরীর ব্যথাকে সাধারণ ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু এসব উপসর্গ অনেক সময় সংক্রমণের প্রাথমিক চিহ্ন হতে পারে। তাই সতর্ক থাকা এবং সময়মতো পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ঘরের অভিজ্ঞতা থেকেও বিষয়টি বোঝা যায়। কয়েক সপ্তাহ আগে আমার পরিবারের একজন সদস্য হঠাৎ করে খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া ও মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ অনুভব করছিলেন। শুরুতে সবাই ভেবেছিল এটা হয়তো গরমের কারণে। কিন্তু উপসর্গ দুই দিন ধরে একই রকম থাকায় আমরা কাছের একটি হাসপাতালে গেলাম। আলহামদুলিল্লাহ, চেকআপের পর জানা গেল বিষয়টি গুরুতর নয়, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে পানিশূন্যতা ও সামান্য সংক্রমণের কারণে সমস্যাটি হচ্ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব হয়েছে। এতে বুঝলাম, সামান্য উপসর্গও গুরুত্ব দিয়ে দেখা কতটা প্রয়োজন।

এখনকার ব্যস্ত জীবনে অনেকেই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাকে অতিরিক্ত ঝামেলা মনে করেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক লক্ষণগুলো চেনা এবং প্রয়োজন হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জীবন বাঁচাতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ, শিশুরা ও যাদের আগেই দীর্ঘমেয়াদি রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা আরও জরুরি। ইনশাআল্লাহ সচেতনতা বাড়ালে এবং সবাই যদি নিজের স্বাস্থ্যের দিকে একটু বেশি নজর দেয়, তাহলে অনেক জটিলতা এড়ানো সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে যেকোনো অস্বাভাবিক শারীরিক অনুভূতি, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, হঠাৎ রুচি পরিবর্তন, অস্বাভাবিক ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। সচেতনতা ও সময়মতো পদক্ষেপই আমাদের সুস্থতার মূল চাবিকাঠি।

Top comments (0)