পরীক্ষার মৌসুমে অনেক শিক্ষার্থীই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়, বিশেষ করে সিলেটের ঘরোয়া পরিবেশে যখন ঘরের কাজ আর পড়াশোনা একসাথে সামলাতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ, একটু পরিকল্পনা আর নিয়ম মানলে প্রস্তুতি নেওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। আজ ৫ অক্টোবর ২০২৫-এর প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীরা যেভাবে পড়াশোনা করছে, সেই অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কার্যকর টিপস শেয়ার করছি, ইনশাআল্লাহ আপনার কাজে লাগবে।
প্রথমেই নিজের পড়ার সময়টা ঠিক করা খুব জরুরি। দিনের কোন সময়টায় আপনার মনোযোগ সবচেয়ে বেশি থাকে, সেটা বুঝে নিন। অনেকেই সকালে পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, আবার কেউ বিকেলে চা খাওয়ার পর পড়তে বসলে বেশি মনোযোগ ধরে রাখতে পারে। পড়াশোনাকে সুশৃঙ্খল করতে চাইলে আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন
১. প্রতিদিনের একটি ছোট পড়ার সময়সূচি তৈরি করুন
২. বিষয়ভিত্তিক লক্ষ্য ঠিক করুন
৩. ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পড়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট বিরতি নিন
৪. কঠিন বিষয়গুলো আগে পড়ে নিন এবং সহজগুলো পরে করুন
অনেক শিক্ষার্থী এখন বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করছে, যা সত্যি উপকারী। YouTube এর শিক্ষামূলক ভিডিও, অনলাইন নোট, মডেল টেস্ট অ্যাপ কিংবা নিজের কলেজের ডিজিটাল কনটেন্ট সবই কাজে লাগাতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন Facebook বা অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় নষ্ট না হয়। প্রয়োজনে মোবাইলে পড়াশোনার সময় নোটিফিকেশন অফ করে রাখলে মনোযোগ আরও ভালো থাকবে।
শেষে, নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেদিন যা পড়লেন, রাতে ঘুমানোর আগে পাঁচ মিনিট হলেও সেটা আবার চোখ বুলিয়ে নিন। এতে মনে রাখার ক্ষমতা অনেক বাড়ে। আর পরীক্ষা যতই ধরা দিক, নিজের উপর ভরসা রাখুন এবং দোয়া পড়ে পড়তে বসুন, ইনশাআল্লাহ ভালো ফলাফল আসবেই। আপনারা যারা ঘরের কাজ, সন্তান সামলানো এবং পড়াশোনা সব একসাথে করেন, আপনাদের জন্য ছোট ছোট সময়েও পড়া ধরে রাখা খুব কার্যকর হতে পারে। আশা করি টিপসগুলো কাজে লাগবে। শুভকামনা রইল 😊
Top comments (5)
হাহা ভাই, আগে আমার পরিকল্পনা ছিল শুধু বই খুলে ঘুমানো, এখন ভাবছি ইনশাআল্লাহ একটু প্ল্যান করে সত্যিই পড়তেও হবে বুঝি!
আমার অভিজ্ঞতায় সিলেটে ঘরের কাজের চাপের মাঝেও ছোট ছোট স্টাডি সেশন বানিয়ে নিলে প্রস্তুতি অনেক সহজ হয়ে যায়, ইনশাআল্লাহ। আমিও দেখেছি পরিকল্পনা ঠিক থাকলে দুশ্চিন্তা অনেক কমে।
Amar mote shobcheye important hocche realistic routine banano, onek beshi plan korle ulta pressure baare. Ektu ektu kore consistent thakle Inshallah result ashe.
আমার অভিজ্ঞতায় সিলেটের বাসার পরিবেশে ঘরের কাজের চাপের মাঝেও ছোট ছোট প্ল্যান করে পড়লে ইনশাআল্লাহ প্রস্তুতি অনেক মসৃণ হয়ে যায়। আমিও দেখেছি সময় ভাগ করে নিলেই দুশ্চিন্তা কমে আসে।
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, পরিবারের চাপ শুরুতে সবাইকেই নিতে হয়, কিন্তু ধীরে ধীরে তারা বুঝে যায় কাজটা আসলে কতটা মূল্যবান ইনশাআল্লাহ। ধৈর্য রাখেন, আয়-রোজগারের স্থিরতা দেখলে তারাই আগে গর্ব করবে।