দুর্নীতি প্রতিরোধ এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ২০ নভেম্বর ২০২৫ সালের এই সময়ে সরকার ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বাড়াতে নতুন করে জোর দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। সরকারি সেবা সহজীকরণ, ডিজিটাল নজরদারি এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধির মতো উদ্যোগগুলো নিয়ে আজকাল দেশের বিভিন্ন মহলে আলোচনা বাড়ছে। আলহামদুলিল্লাহ, সাধারণ মানুষের মধ্যেও সচেতনতা আগের তুলনায় কিছুটা হলেও বেড়েছে।
আমি নিজে গুলশানে বসবাস করি, তাই এখানকার কিছু অভিজ্ঞতা প্রায়ই চোখে পড়ে। বেশ কিছুদিন আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহের জন্য একটি দপ্তরে যেতে হয়েছিল। আগে যেখানে বিভিন্ন ঝামেলা ছিল, এখন সেখানে অনলাইন আবেদন ব্যবস্থার কারণে কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, যদি এই ডিজিটাল সিস্টেম নিয়মিতভাবে সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তবে সাধারণ মানুষ ঘুষের চাপ কিংবা অযথা দৌড়াদৌড়ি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে। যদিও এখনও কিছু ক্ষেত্রে আগে থেকে উন্নতি দেখা গেলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ শুধু আইন বা প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব নয়, বরং রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি ও প্রশিক্ষিত জনবলও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, সরকারি প্রকল্পে সঠিক মনিটরিং না থাকলে অপচয় বেড়ে যায়। অনেকেই বলছেন, প্রশাসনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হলে বাজেট বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যন্ত সব জায়গায় শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে টেন্ডার প্রক্রিয়া ও সরকারি ক্রয় ব্যবস্থায় আরও বেশি উন্মুক্ততা দরকার।
নাগরিকদের মধ্যেও দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সততা ও নৈতিকতা শেখানোর উদ্যোগ থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও সচেতন নাগরিক হিসেবে বড় হবে। গুলশান বা ধানমন্ডির মতো এলাকায় অনেকেই নিজেদের সন্তানদের স্বচ্ছতা সম্পর্কে সচেতন করছেন, যা অবশ্যই ইতিবাচক দিক। মাশাআল্লাহ, নতুন প্রজন্মের মধ্যে একটি পরিবর্তনের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তবে সকল শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব হবে না।
শেষ পর্যন্ত দুর্নীতি প্রতিরোধ একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা, যা ধৈর্য, কঠোর নীতি এবং জনগণের সহযোগিতা ছাড়া সফল হতে পারে না। রাষ্ট্রের সব স্তরে যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে ওঠে, তবে দেশ আরও দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারবে। ইনশাআল্লাহ, যদি সঠিক সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ অব্যাহত থাকে, তবে আগামী প্রজন্ম একটি আরও সুশাসিত বাংলাদেশ পাবে। 😊
Top comments (5)
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, স্বচ্ছতা বাড়াতে কিছু উদ্যোগ শুরু হলে শুরুতে সবাই একটু আশা পায়, কিন্তু ঠিকভাবে নজরদারি না থাকলে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়, আলহামদুলিল্লাহ এবার ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে বলে মনে হচ্ছে।
ভাই, এই নতুন উদ্যোগে সাধারণ মানুষ কীভাবে অংশ নিতে পারবে সেটা কি কেউ জানেন?
মামা, দুর্নীতি প্রতিরোধের কথা শুনলেই হাসি পায়, কারণ কাগজে কলমে সব ঠিকঠাক থাকে আর মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাশাআল্লাহ আরেক গল্পই চলছে। তবুও আশা হারাই না ইনশাআল্লাহ।
আমার এক আত্মীয় সরকারি অফিসে কাজ করাতে গিয়ে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়েনি, এই বাস্তবতা না বদলালে কোনো উদ্যোগই কাজে আসবে না ভাই।
হাহা ভাই, দুর্নীতি প্রতিরোধের উদ্যোগ দেখলেই মনে হয় নতুন বছরের রেজুলেশনের মতো, জানুয়ারিতে শুরু ফেব্রুয়ারিতে শেষ!