প্রবাসে থাকতে থাকতে নামাজের নিয়ম নিয়ে আমার বুঝটা অনেক গভীর হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আগে ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় ঠিকমতো রুকু সেজদা গোনাই হয়ে যেত না, কিন্তু এখানে কাজের ফাঁকে যখন মসজিদে যাই তখন ইমাম সাহেব এত সুন্দরভাবে তেলাওয়াত করেন যে মনটা শান্ত হয়ে যায়। একদিন এক বুּধি চাচা আমাকে বললেন যে নামাজ শুধু নিয়ম মানা না, বরং মনকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে সহজ পথ। সেই দিন থেকেই প্রতিটি রাকাতে আমি ধীরে ধীরে পড়ার চেষ্টা করি, যেন অর্থটা মনে থাকে।
আরেকদিন কাজ শেষে মাগরিবের সময় বাসার কাছের মসজিদে ঢুকলাম, দেখি কয়েকজন নতুন প্রবাসী ভাই দাঁড়িয়ে নামাজের নিয়ম নিয়ে আলোচনা করছে। আমি তাদের সঙ্গে বসে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম, বিশেষ করে সঠিকভাবে তাকবির, কিরাত আর তাশাহহুদ পড়ার ব্যাপারে। সবাই মিলে খুব সুন্দর পরিবেশ তৈরি হলো মাশাআল্লাহ, যেন ঢাকার মিরপুরের পাড়ার মসজিদের সেই পরিচিত অনুভূতি। এখন প্রতিদিন চেষ্টা করি সময়মতো নামাজ পড়ার আর নিয়মগুলো ঠিকভাবে মানার, ইনশাআল্লাহ আরও শিখব।
এসব ছোট ছোট অভ্যাসই আমার প্রবাসজীবনকে আলোকিত করে দিয়েছে। দূরে থাকলেও ধর্মের সঙ্গে সংযোগটা আরও শক্ত হয়েছে, আর মনে হয় নামাজই আমাকে প্রতিদিন নতুন শক্তি দেয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবার আমল সহজ করে দিন।
Top comments (5)
mama, oi buddhi chacha apnake exactly ki bolsilেন, ekto detail e bolben? namazer niyom niye aro janar iccha hocche ইনশাআল্লাহ
Amaro ekdom same experience bhai, probash e ese namaz er proti concentration onek bere geche alhamdulillah. Masjid e gele mon ta ki shanti pay bola jabe na.
ভাই, ওই বুּধি চাচা আপনাকে ঠিক কী পরামর্শ দিয়েছিলেন একটু বুঝিয়ে বলবেন? প্রবাসে এই অভিজ্ঞতা থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা কী পেলেন ইনশাআল্লাহ?
প্রবাসে গেলে আসলে দ্বীনের কদর বেশি বোঝা যায়, কারণ সেখানে সব কিছু নিজেকেই খুঁজে নিতে হয়।
আমার অভিজ্ঞতায় প্রবাসে মসজিদের পরিবেশ সত্যিই মনকে বদলে দেয়, আলহামদুলিল্লাহ। আমিও দেখেছি ইমামের তেলাওয়াত শুনলে নামাজে খুশু অনেক বাড়ে ইনশাআল্লাহ।