২ আগস্ট ২০২৫ তারিখে প্রযুক্তি খাতে যে ধারাবাহিক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে, তার বড় একটি অংশ এখন ওয়েব ডিজাইন শেখার প্রবণতা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকায় তরুণদের মধ্যে এই দক্ষতা অর্জনের আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে। অনেকেই এখন ঘরে বসে অনলাইন কোর্স, YouTube টিউটোরিয়াল এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দিয়ে ওয়েব ডিজাইন শেখার পথ বেছে নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ওয়েব ভিত্তিক সেবা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দক্ষতার চাহিদা আরও বাড়বে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং সংস্কৃতি যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে, তেমনি ওয়েব ডিজাইন এখন তরুণদের জন্য অন্যতম সহজলভ্য একটি দক্ষতা। HTML, CSS, JavaScript বা WordPress শেখা এখন আগের তুলনায় অনেক সহজ। গ্রামীণফোন কিংবা Robi এর ইন্টারনেট প্যাকেজ সহজলভ্য হওয়ায় গ্রামের ছেলেমেয়েরাও অনায়াসে অনলাইন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন। আমি নিজেও রংপুরে বসে কয়েক মাস আগে একটি ছোট অনলাইন কোর্স করেছি, আলহামদুলিল্লাহ সেখানে শিখতে পেরেছি কীভাবে একটি সহজ ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় এবং কীভাবে মোবাইল রেসপন্সিভ ডিজাইন নিশ্চিত করা হয়।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাম্প্রতিক প্রবণতা হচ্ছে প্র্যাকটিকাল প্রজেক্ট তৈরি করা। অনেকেই তাদের প্রথম ওয়েবসাইট বানিয়ে bKash বা Pathao এর ল্যান্ডিং পেজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ডিজাইন অনুশীলন করছেন। মিরপুর, ধানমন্ডি বা গুলশানের কোডিং ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে এখন ব্যাচভিত্তিক ওয়েব ডিজাইন কোর্সের চাপ বাড়ছে। প্রশিক্ষকরা বলছেন যে যারা নিয়মিত অনুশীলন করছেন, তারা তিন থেকে ছয় মাসেই একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে পারছেন। মাশাআল্লাহ এই প্রবণতা নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
দেশে ডিজিটাল পরিষেবা সম্প্রসারণ হওয়ায় সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখন তাদের ওয়েবসাইট আধুনিকায়ন করতে আগ্রহী। ফলে দক্ষ ওয়েব ডিজাইনারদের প্রয়োজনীয়তা গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অনেকেই ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়ের পথ তৈরি করছেন। উদাহরণ হিসেবে, রংপুরের এক বন্ধু সম্প্রতি একটি স্থানীয় খিচুড়ি রেস্টুরেন্টের জন্য একটি সুন্দর অনলাইন মেনু ও অর্ডারিং ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন, যা তাদের ব্যবসায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সব মিলিয়ে, বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে ওয়েব ডিজাইন এখন একটি সম্ভাবনাময় দক্ষতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যারা শখ, পেশা কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ের উদ্দেশ্যে এই স্কিল শিখতে চান, তাদের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। নিয়মিত অনুশীলন, ধৈর্য এবং সঠিক রিসোর্স ব্যবহার করতে পারলে দেশের তরুণরা এই দক্ষতাকে পুঁজিতে রূপান্তর করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
amar mote bhai, lokal problem theke idea dhora eta real opportunity, Sylhet e small restaurant based delivery niche ta nowoateo empty ache mone hoy. inshaAllah thik moto execute korle boro scope dekhte parba.
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, ঘরে বসে ইউটিউব আর অনলাইন কোর্স দেখে ওয়েব ডিজাইন শেখা সত্যিই অনেক সহজ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। ইনশাআল্লাহ একটু ধৈর্য রাখলে কাজ পাওয়ার সুযোগও ধীরে ধীরে আসে।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, দেশে ওয়েব ডিজাইন শেখার আগ্রহ সত্যিই অনেক বাড়ছে মাশাআল্লাহ। এই সুযোগগুলো তরুণদের জন্য অনেক উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ।
হাহা ভাই, সিলেটের রেস্টুরেন্টগুলো তো এমনিতে দেরি করে খাবার দেয়, আপনি স্টার্টআপ দিলে হয়তো ইনশাআল্লাহ খাবারটাই আগে পৌঁছে যাবে পরে অর্ডার আসবে।
mama ei startup idea gular moddhe kon ta silo te shobar age try kora jabe bole mone hocche, ekto detail e bolben?