আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আজকে একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আমাদের দেশের যুব রাজনীতি নিয়ে আজকাল অনেক কথা হচ্ছে। আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তাই এই বিষয়টা আমাকে বেশ ভাবায়। সত্যি বলতে, তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিয়ে আমার মিশ্র অনুভূতি আছে।
একদিক থেকে দেখলে, তরুণরা যদি দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা না করে তাহলে কে করবে? আমাদের দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ তরুণ। তারা শিক্ষিত, তারা সচেতন, তারা পরিবর্তন চায়। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং ইতিবাচক বিষয়। আমি নিজেও চাই আমার সন্তানেরা দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হোক, সমাজের উন্নতিতে অবদান রাখুক।
কিন্তু অন্যদিকে, আমি একজন মা হিসেবে চিন্তিতও থাকি। রাজনীতির মাঠ সবসময় নিরাপদ না। ছাত্র রাজনীতিতে অনেক সময় সহিংসতা দেখা যায়, যেটা কারোই কাম্য না। পড়াশোনার ক্ষতি হয়, ক্যারিয়ার নষ্ট হয়। মিরপুরে থাকি বলে অনেক কিছু কাছ থেকে দেখেছি। অনেক পরিবারের সন্তান রাজনীতির জটিলতায় পড়ে জীবন নষ্ট করেছে।
আমার মনে হয় যুব রাজনীতি ভালো হতে পারে যদি সেটা সুস্থ ধারায় হয়। মানে, তরুণরা নীতি নিয়ে কথা বলুক, দেশের উন্নয়ন নিয়ে ভাবুক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হোক। কিন্তু দলীয় লাঠিয়াল হয়ে মারামারি করা, সেশনজট বাড়ানো, এগুলো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। ইনশাআল্লাহ আমাদের তরুণরা সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।
শেষে বলতে চাই, বাবা মায়েদের উচিত সন্তানদের সাথে এই বিষয়ে খোলামেলা কথা বলা। রাজনীতি মানেই খারাপ না, কিন্তু কোন রাজনীতি করছো সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের কি মতামত এই বিষয়ে? জানাবেন প্লিজ। 🇧🇩
Top comments (4)
আমার অভিজ্ঞতায় বলছি, এনজিও কাজ করতে গিয়ে দেখেছি যেসব তরুণ সামাজিক কাজে যুক্ত থাকে তারা রাজনীতিতে গেলেও বেশি দায়িত্বশীল হয়। ছেলেকে প্রথমে কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে যুক্ত করতে পারেন, ইনশাআল্লাহ ভালো ফাউন্ডেশন তৈরি হবে।
দারুণভাবে গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলেছেন ভাই, তরুণদের সঠিক দিকনির্দেশনা এখন সত্যিই জরুরি। ইনশাআল্লাহ এমন আলোচনায় সবাই আরও সচেতন হবে।
ভাই, তরুণদের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকিটা আপনি কোন দিক থেকে দেখছেন বলে মনে করেন? আরেকটু পরিষ্কার করে বলবেন কি ইনশাআল্লাহ?
আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে তরুণদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা যদি গঠনমূলক হয় তাহলে ভালো, কিন্তু অভিভাবক হিসেবে আপনি ছেলের সাথে খোলামেলা কথা বলুন এবং তাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিন। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।