ঢাকার মিরপুর এলাকায় এই শীত শেষে স্থানীয় ক্রিকেট আবারও জমে উঠেছে। সকাল বেলা মাঠে দাঁড়ালে এখন আগের চেয়ে বেশি ব্যাট বলের শব্দ শোনা যায়, আর এ দৃশ্য সত্যিই মন ভালো করে দেয়। অনেকেই বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ক্রিকেট নিয়ে যে আলোচনাগুলো হয়েছে, তারও একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে তরুণ খেলোয়াড়দের মাঝে। বিশেষ করে গত মাসে শেষ হওয়া বিপিএল দুই হাজার চব্বিশ পঁচিশ মরসুমের উত্তেজনা এখনও তরুণদের মধ্যে রয়ে গেছে, যেখানে ফর্চুন বরিশাল চট্টগ্রাম কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই সাফল্যের গল্প অনেক তরুণ খেলোয়াড়কে অনুপ্রাণিত করছে ইনশাআল্লাহ আরও বড় স্বপ্ন দেখার জন্য।
মিরপুরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় যে টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়, সেগুলোতেও এবার অংশগ্রহণ বেড়েছে। আমি গত শুক্রবার আমাদের ব্লকের মাঠে গিয়ে দেখলাম, ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া পর্যন্ত সবাই দারুণ উদ্যম নিয়ে খেলছে। একজন অভিভাবক আমাকে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ এখনকার ছেলেরা আগের চেয়ে অনেক বেশি নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে খেলছে এবং নিজেদের ফিটনেস নিয়েও সচেতন। মাঠে এক পাশে ছিল চটপটি আর ফুচকার দোকান, আরেক পাশে চা আর পরোটার আড্ডা, সব মিলিয়ে পুরো এলাকায় যেন উৎসবের মতো পরিবেশ ছিল।
স্থানীয় ক্লাবগুলোও এবার বেশ সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি ক্লাব জানিয়েছে, প্রতিদিন নিয়মিত অনুশীলন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং অভিজ্ঞ কোচদেরও রাখা হয়েছে। এতে করে অনেক তরুণের শৈশবের স্বপ্ন নতুন করে ডানা মেলছে। কিছু খেলোয়াড় বলছিল, তারা বিপিএলে ফর্চুন বরিশালের জয় দেখে মাশাআল্লাহ নতুন করে আত্মবিশ্বাস পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় লিগে খেলার আশাও করছে। যদিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গত সপ্তাহে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দুই হাজার পঁচিশে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তারপরও আমাদের যুবাদের ফোকাস যে নিজেদের উন্নতির দিকে, তা মাঠে দেখেই বোঝা যায়।
মাঠের ক্রিকেটের পাশাপাশি অনেকে নতুন প্রযুক্তিও ব্যবহার করছে। কেউ কেউ YouTube দেখে ব্যাটিং টিপস নিচ্ছে, আবার কেউ ম্যাচের ভিডিও রেকর্ড করে নিজের ভুল ঠিক করার চেষ্টা করছে। আমিও একদিন Pathao ধরে মিরপুরের একটি অনুশীলন সেশন দেখতে গিয়েছিলাম, সত্যি বলতে গেলে ছেলেরা যে আন্তরিকতা নিয়ে খেলছে তা দেখে মন ভরে গেছে। এক কোচ বলল, যদি এলাকায় আরও কিছু উন্নত প্রশিক্ষণ সুবিধা তৈরি হয়, তাহলে কয়েক বছরের মধ্যেই মিরপুর থেকে আরও ভালো খেলোয়াড় উঠে আসবে ইনশাআল্লাহ।
সব মিলিয়ে বলা যায়, মিরপুরের স্থানীয় ক্রিকেট শুধু খেলাধুলা নয়, মানুষের মাঝে এক ধরনের ইতিবাচক শক্তি তৈরি করছে। পরিবার, বন্ধু আর প্রতিবেশীদের মধ্যে নতুন বন্ধন গড়ে উঠছে, আর তরুণদের জীবনযাত্রায় আসছে শৃঙ্খলা আর আত্মবিশ্বাস। সামনে গরম মৌসুমে এই ক্রিকেট উন্মাদনা আরও বাড়বে, এমনটাই আশা করছে এলাকাবাসী 😊
Top comments (4)
amar mote mirpur er ei cricket er uthan ta khub positive signal bhai, jeta dekhlei mone hoy je tarun ra abar notun kore confidence pacche inshaAllah. এটা ভাবার বিষয় je local level e ei dhoroner movement desher cricket er future strength baray.
মাশাআল্লাহ, সত্যিই ভালো খবর! তরুণদের এই উৎসাহ দেখে আশা জাগে।
mama mirpur er ei uthishilo cricket vibe ta ki shotti long term thakbe bole mone hocche, na ekhon shudhu season er jonnoi ei hype, jante ichcha korchi?
Ami niyomito Mirpur e jai, shotti bhai ekhon mather environment ta onnek valo lagche, bacchara subah thekei practice korche dekhi.