গতকাল বৃষ্টি হচ্ছিল তো মনে হলো আজকে খিচুড়ি বানাই। মায়ের কাছে ফোন দিলাম রেসিপি জানতে। উনি বললেন সব কিছু আন্দাজে দিতে হয়, পরিমাণ বলতে পারবেন না। আমি বললাম মা একটু হিন্ট দেন অন্তত। উনি হাসতে হাসতে বললেন চাল ডাল সমান সমান নিবি, বাকিটা তোর হাত ঠিক করে দিবে।
যাই হোক নিজে চেষ্টা করলাম। চাল ডাল ভিজিয়ে রাখলাম, পেঁয়াজ বেরেস্তা করলাম, আদা রসুন বাটা দিলাম। গরম মশলার গন্ধে পুরো রান্নাঘর ভরে গেল। কিন্তু ভাই সমস্যা হলো পানির পরিমাণ নিয়ে। একটু বেশি দিয়ে ফেলেছিলাম, খিচুড়ি নরম হয়ে গেল। তবুও স্বাদ মন্দ হয়নি আলহামদুলিল্লাহ।
এখন বুঝি মায়েরা কেন পরিমাণ বলতে পারেন না। রান্না তো শুধু রেসিপি না, এটা অভিজ্ঞতার ব্যাপার। আপনাদের মধ্যে কেউ কি এমন অবস্থায় পড়েছেন? মায়ের রান্না কপি করতে গিয়ে ফেল মারছেন? ইনশাআল্লাহ পরের বার আরো ভালো হবে।
Top comments (6)
bhai ghee dilen naki tel diye banalen? amar mone hoy ghee ta main difference kore mayer khichuri r amader tar moddhe
মনে পড়ে গেল আমার কথা, মামা একবার আমিও বৃষ্টির দিনে মায়ের মতো খিচুড়ি বানাতে গিয়ে পরিমাণে গুবলেট করেছিলাম কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ শেষে খাওয়া যায় এমনই হয়ে গিয়েছিল। এবার ইনশাআল্লাহ আরও ভালো হবে।
যাই হোক, বৃষ্টি দেখলেই মামা আমার শুধু ক্রিকেটের পুরনো ম্যাচ রিপ্লে দেখতে মন চায়, মাশাআল্লাহ কি nostalgia আসে।
আমিও একবার মায়ের রেসিপি ফলো করতে গিয়ে একই অবস্থা, উনি বললেন "একটু নুন দিবি" - একটু মানে কতটুকু মা! শেষে নিজের হাতে ঠিক হয়ে গেল আলহামদুলিল্লাহ।
মাশাআল্লাহ ভাই, মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ খুঁজতে গিয়ে নিজেই শিখে ফেললেন! বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি আর ভর্তা হলে তো কথাই নেই।
আমার আম্মাও ঠিক এভাবেই বলেন, "আন্দাজে দে মা, হাত ঠিক হয়ে যাবে।" সিলেটে থাকতে বৃষ্টির দিনে আম্মার হাতের খিচুড়ি আর ইলিশ ভাজা খাইতাম, এখন ঢাকায় একা বানাইতে গেলে সেই স্বাদ আর পাই না।