Banglanet

মিথিলা দাস
মিথিলা দাস

Posted on

সাধারণ রোগের লক্ষণ চেনার গুরুত্ব এবং সচেতনতার প্রয়োজন

১০ অক্টোবর ২০২৫, চট্টগ্রাম থেকে আলহামদুলিল্লাহ সবাইকে সালাম জানিয়ে শুরু করছি আজকের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সংবাদ। সাম্প্রতিক সময়ে চিকিৎসকরা বারবার বলছেন যে সাধারণ কিছু রোগের প্রাথমিক লক্ষণ সময়মতো চিনতে পারলে বড় ধরনের জটিলতা এড়ানো সম্ভব। আমাদের দেশে অনেকেই ব্যস্ততার কারণে কিংবা অবহেলায় সামান্য উপসর্গকে গুরুত্ব দেন না, যার ফলে পরে গিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে মাথাব্যথা, ক্লান্তি, হালকা জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হলে তা কখনোই হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়।

চট্টগ্রামে এক স্বাস্থ্যসচেতনতা কর্মসূচিতে চিকিৎসকরা জানান যে মৌসুমি রোগ যেমন সর্দি কাশি বা ভাইরাল জ্বর এখন অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে, আর এসব রোগের প্রাথমিক লক্ষণ অনেকটাই মিল থাকে। আমি নিজেও গত সপ্তাহে হালকা জ্বর আর শরীর ব্যথা অনুভব করি, প্রথমে ভেবেছিলাম স্বাভাবিক কাজের চাপে হয়েছে। কিন্তু উপসর্গ তিন দিনের বেশি থাকায় স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে যাই এবং তিনি বলেন যে মৌসুমি সংক্রমণ হতে পারে। সময়মতো পরীক্ষা করায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পেরেছি, আর ইনশাআল্লাহ এখন বেশ ভাল আছি।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন যে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগেও মানুষের মধ্যে প্রাথমিক লক্ষণ থাকে যা অনেকেই বুঝেও গুরুত্ব দেন না। যেমন অস্বাভাবিক ক্লান্তি, অতিরিক্ত ঘাম, মাথা ঘোরা বা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এসবই উপেক্ষা করার মতো বিষয় নয়। অনেক মানুষই ব্যস্ত জীবনে এসব লক্ষণ খেয়াল করেন না এবং পরে এসে রোগের উন্নত পর্যায়ে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন। বিশেষ করে যাদের পরিবারে এসব রোগের ইতিহাস আছে তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত।

চট্টগ্রামের এক গৃহিণী আপা এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে তিনি কয়েক মাস ধরে হালকা মাথাব্যথা অনুভব করলেও বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। পরে যখন মাথাব্যথা বাড়তে থাকে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেন এবং জানতে পারেন যে তার রক্তচাপ নিয়মিত ওঠানামা করছে। এখন তিনি নিয়মিত খাবারদাবার নিয়ন্ত্রণ করছেন, হাঁটাহাঁটি করছেন এবং সময়মতো ওষুধ নিচ্ছেন। তার মতে যদি তিনি আগে থেকেই সতর্ক হতেন তাহলে অস্বস্তি আরও কম হতো।

চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে এ সময় যদি কারও জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, দুর্বলতা বা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়, তবে বাড়িতে বসে শুধু গরম পানি বা ঘরোয়া চিকিৎসায় নির্ভর না করে প্রয়োজনে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। সচেতন হওয়া এবং সময়মতো পরীক্ষা করা মানে নিজের পরিবারের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা। আমাদের উচিত নিজেদের শরীরের সংকেতগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা, কারণ রোগ প্রতিরোধ সবসময় চিকিৎসার চেয়ে সহজ এবং নিরাপদ। ইনশাআল্লাহ সচেতনতা বাড়লে অনেক ঝুঁকিই কমে যাবে।

Top comments (5)

Collapse
 
naimparbheen18 profile image
নাঈম পারভীন

আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, সামান্য জ্বর বা কাশি অবহেলা করলে পরে বড় সমস্যায় পড়তে হয়, তাই এখন চেষ্টা করি প্রথম লক্ষণ দেখলেই ডাক্তার দেখাতে ইনশাআল্লাহ।

Collapse
 
kamrul_parbheen profile image
Kamrul Parbheen

আমার আব্বার ডায়াবেটিস ধরা পড়তে দেরি হয়েছিল শুধু লক্ষণগুলো না চেনার কারণে, তাই এই পোস্টটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।

Collapse
 
farzana_1 profile image
ফারজানা বেগম

হাহা ভাই, আমাদের দেশে মাথাব্যথা হলেই সবাই ভাবে নিশ্চয়ই দুনিয়ার শেষ, ইনশাআল্লাহ আগে লক্ষণটা চিনলেই এত ড্রামা কমে যেত।

Collapse
 
aphrin_choudhury_bd profile image
আফরিন চৌধুরী

ভাই, সাধারণ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ ঠিক কোনগুলো আগে নজরে রাখা উচিত একটু বুঝিয়ে বলবেন? ইনশাআল্লাহ জানলে উপকার হবে।

Collapse
 
sumaija_miah_bd profile image
সুমাইয়া মিয়া

hahaha bhai amra to Google e search dile shob rog er lakkhon amader moddhe khuije pai, tarpor tension e aro beshi oshustho hoye jai!