চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় নির্বাচনের নিয়ে আলোচনা বেশ জমে উঠেছে। বাজারে চা খেতে গেলেই দেখা যায়, ভোটারদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ঘুরছে। অনেকেই বলছেন, স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নের প্রকৃত চিত্র নির্বাচনের আগে-পরে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, আজকাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় নির্বাচনের গুরুত্ব আগের তুলনায় আরও বেড়েছে, কারণ এখানেই জনগণ সরাসরি নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার সুযোগ পান।
আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ আর নিরাপত্তাব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো লোকজন খুব গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন। বিশেষ করে গৃহিণীদের মাঝে এই আলোচনা আরও বেশি, কারণ প্রতিদিনের জীবনযাত্রার সুবিধা-অসুবিধা সবচেয়ে আগে আমরা নিজেরাই টের পাই। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কিছুদিন আগে আমাদের এলাকার মহল্লা কমিটির এক বৈঠকে কয়েকজন আপা বলছিলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি যদি এলাকার পানি-নিকাশ সমস্যার দিকে নজর দেন, তাহলে যে কোনও উন্নয়নই দারুণভাবে কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, আজকাল মানুষ প্রার্থীর পরিচয়ের চেয়ে কাজ করার সক্ষমতা ও পূর্বের সুনামের দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন। অনেকে বলছেন, স্থানীয় উন্নয়ন মানে শুধু রাস্তা বা লাইট নয়, বরং স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন ব্যবস্থার বাস্তব উন্নতি। আগ্রাবাদের অনেকে উদাহরণ দিচ্ছেন যে, যখনই কোনও প্রতিনিধি এলাকার স্কুল কিংবা ক্লিনিক নিয়ে গুরুত্ব দেন, তখনই সাধারণ মানুষ তার ওপর বেশি ভরসা করতে পারেন মাশাআল্লাহ।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলেন, দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ যেমন-ই হোক না কেন, স্থানীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির চর্চা বাড়ছে। জনগণ আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে Facebook এবং YouTube দেখে প্রার্থীদের কাজ সম্পর্কে আরও সচেতন হচ্ছেন। অনেকেই তুলনা করছেন পূর্বের বছরের অভিজ্ঞতার সাথে বর্তমান পরিস্থিতি, যদিও নির্দিষ্ট সময় বা ঘটনার প্রসঙ্গ তাঁরা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করছেন না। তবে সাধারণ মনোভাব হচ্ছে, সঠিক প্রতিনিধিকে বেছে নিতে পারলে স্থানীয় উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদে আরও টেকসই হবে ইনশাআল্লাহ।
সব মিলিয়ে বলা যায়, চট্টগ্রামের বিশেষ করে আগ্রাবাদের বাসিন্দাদের মধ্যে আসন্ন যে কোনও স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি ও আগ্রহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। মানুষ আশা করছেন, এবার ভোটদান আরও স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হবে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। আল্লাহ চাইলে এই অংশগ্রহণমূলক মনোভাব ভবিষ্যতের রাজনীতিকে আরও ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
Top comments (5)
Ekdom thik kotha bhai, local election e manush er interest barle democracy ar o strong hobe inshallah.
haha election er agei rasta thik hoye jay, magic er moto! cha er dokan e boshle mone hoy shobai political analyst 😂
haha bhai election er agei rasta thik hoye jay, election er pore rasta khojar jonno GPS lagbe! 😂
আমাদের এলাকায়ও একই অবস্থা, চায়ের দোকানে গেলেই সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। ইনশাআল্লাহ এবার ভালো কেউ আসবে।
হাহা মামা, নির্বাচন আসলে চা দোকানের আলোচনা এমনিতেই ফ্রি আপগ্রেড হয়ে যায়, ইনশাআল্লাহ ভোটের দিনেও এমন উৎসাহ থাকলে মজাই লাগবে।