আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপুরা। আজকে আপনাদের সাথে কিছু রান্নার টিপস শেয়ার করতে চাই যেগুলো আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেখা। ব্যবসার কাজে সারাদিন ব্যস্ত থাকি, তাই সময় বাঁচিয়ে ভালো খাবার বানানোর কৌশল আমাকে রপ্ত করতে হয়েছে। চট্টগ্রামে থাকি বলে মেজবানি গোশত আর কালা ভুনার স্বাদ আমার মুখে লেগে আছে ছোটবেলা থেকে।
প্রথম কথা হলো মশলার ব্যাপারে কোনো আপোষ করবেন না। বাজার থেকে গুঁড়া মশলা না কিনে আস্ত মশলা কিনে বাসায় ভেঙে নিন। এতে সুগন্ধ এবং স্বাদ দুটোই অনেক বেশি পাবেন। আমি সাধারণত জিরা, ধনিয়া, দারুচিনি, এলাচ আস্ত কিনে রাখি। রান্নার আগে হালকা ভেজে নিয়ে গুঁড়া করলে মাশাআল্লাহ অসাধারণ গন্ধ বের হয়। পেঁয়াজ বেরেস্তা তৈরি করে ফ্রিজে রাখতে পারেন, এটা বিরিয়ানি থেকে শুরু করে যেকোনো ভুনায় কাজে লাগে।
ইলিশ মাছ রান্নার সময় অনেকেই ভুল করেন। মাছ কেনার পর হালকা লবণ আর হলুদ মাখিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। ভাজার সময় তেল যথেষ্ট গরম হতে দিন, তাহলে মাছ তেল টানবে না। সরিষা বাটা দিয়ে ইলিশ রান্না করলে কাঁচা সরিষার বদলে ভাজা সরিষা ব্যবহার করে দেখুন, একটু ভিন্ন কিন্তু চমৎকার স্বাদ পাবেন। আমার আম্মু এভাবে রান্না করতেন।
খিচুড়ি রান্নায় অনেকে চাল আর ডাল আলাদা ভিজিয়ে রাখেন, কিন্তু আমার মতে একসাথে ভিজিয়ে রাখলে রান্না সমান হয়। গরম মশলা যেমন দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা তেলে ভেজে নিয়ে তারপর পেঁয়াজ দিন। বৃষ্টির দিনে গরম খিচুড়ি আর ডিম ভাজি, সাথে আচার থাকলে আলহামদুলিল্লাহ জীবন সার্থক মনে হয়। ইনশাআল্লাহ আগামী পোস্টে মেজবানি গোশতের রেসিপি দেবো।
শেষ কথা হলো রান্না শেখার জন্য ধৈর্য দরকার। প্রথমবার না হলে হতাশ হবেন না। YouTube তে অনেক বাংলাদেশি চ্যানেল আছে যেখান থেকে শিখতে পারবেন। তবে মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ পেতে হলে নিজের পরিবারের রেসিপি সংগ্রহ করে রাখুন 😊
Top comments (5)
মামা, একদম সঠিক বলেছেন, এসব টিপস ঘরে বসে রান্না শিখতে সত্যিই অনেক কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ। কাজের মাঝে সময় বাঁচাতে এমন গাইড বেশ দরকার ছিল।
Hahaha mama, ami to recipe dekhlei bhabte thaki je ei shob baniye khete khete amar chool jhulsha hoye jabe, kintu post ta dekhe confidence abar fire ashtese mashallah.
haha bhai apni to amader pet er dushmon hoye gelen, akhon raat 2 tay mejbani gosht er kotha poire khudhay morchi! 😂
আমার অভিজ্ঞতায় ঘরে বসে ইউটিউব দেখে শিখেও মেজবানি গোশতের স্বাদ মোটামুটি আনা যায়, ইনশাআল্লাহ কয়েকবার প্র্যাকটিস করলেই হাত পাকতে থাকে। ধন্যবাদ ভাই, ভালো লাগল আপনার শেয়ার।
আমার মতে ছোট ছোট প্রস্তুতি আগেই করে রাখলে ঘরে বসে মেজবানি টাইপ রান্নাও সহজ হয়, ইনশাআল্লাহ সময়ও বাঁচবে। আপনার অভিজ্ঞতা সত্যিই কাজে লাগার মতো লাগল ভাই।