ভাই আজকে একটু সিরিয়াস টপিক নিয়ে কথা বলি। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার জিনিসটা আসলে কি? সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যখন কোনো বিজ্ঞানী নতুন কিছু খুঁজে বের করেন বা প্রকৃতির কোনো রহস্য উদঘাটন করেন, সেটাই আবিষ্কার। মাশাআল্লাহ মানুষের বুদ্ধি দেখে অবাক হতে হয়। আমাদের ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও কত গবেষণা হয় জানেন? নতুন নতুন ধানের জাত, সবজির জাত আবিষ্কার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আমি ছোটবেলায় ভাবতাম বিজ্ঞানী মানেই সাদা কোট পরা পাগল টাইপের মানুষ। কিন্তু বড় হয়ে বুঝলাম, আবিষ্কার করতে পাগল হওয়া লাগে না, লাগে কৌতূহল আর ধৈর্য। নিউটন আপেল পড়তে দেখে মাধ্যাকর্ষণ আবিষ্কার করেছিলেন বলে গল্প আছে। কিন্তু আসল কথা হলো উনি বছরের পর বছর চিন্তা করেছেন, হিসাব করেছেন। একদিনে কিছু হয়নি ভাই।
আজকাল যে আমরা স্মার্টফোনে ফেসবুক চালাই, ইউটিউবে ভিডিও দেখি, এগুলো সব হাজার হাজার আবিষ্কারের ফসল। বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে ইন্টারনেট, সেমিকন্ডাক্টর থেকে টাচস্ক্রিন পর্যন্ত সব কিছু কোনো না কোনো বিজ্ঞানীর গবেষণার ফল। বিকাশে টাকা পাঠাই, পাঠাওতে রাইড নিই, সব জায়গায় বিজ্ঞান। আলহামদুলিল্লাহ আমরা এমন যুগে আছি যেখানে প্রযুক্তি হাতের মুঠোয়।
একটা মজার বিষয় বলি। অনেক বড় বড় আবিষ্কার হয়েছে ভুল করতে গিয়ে। পেনিসিলিন আবিষ্কার হয়েছিল ল্যাবে ছত্রাক জন্মে যাওয়ার কারণে। মাইক্রোওয়েভ ওভেন আবিষ্কার হয়েছিল রাডার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে। তাই ভুল করতে ভয় পাবেন না ভাই, কে জানে আপনার ভুল থেকেই হয়তো নতুন কিছু বের হবে 😄
ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ থেকেও বড় বড় বিজ্ঞানী বের হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা মেধাবী, শুধু সুযোগ আর সঠিক গাইডলাইন দরকার। বিজ্ঞান শুধু বই পড়া না, প্রশ্ন করা শেখা। তাই বাচ্চাদের প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করুন, কে জানে পরবর্তী বড় আবিষ্কার হয়তো ময়মনসিংহ থেকেই আসবে!
Top comments (0)