ঢালিউডে আজকাল এক ধরনের নতুন উদ্যম চোখে পড়ছে, বিশেষ করে বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি কনটেন্টভিত্তিক চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ বাড়ায় নির্মাতারা আরও পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রযোজনা সংস্থাগুলো যে ভিন্নধর্মী গল্প ও আধুনিক শুটিং প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে, তা ঢালিউডের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে দেখা যাচ্ছে। দর্শকের রুচি বদলে যাওয়ায় নির্মাতারা এখন চরিত্রকেন্দ্রিক গল্প, বাস্তবধর্মী আবহ এবং শক্তিশালী অভিনয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, যা সামগ্রিকভাবে ইন্ডাস্ট্রির মান বাড়াতে সাহায্য করছে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি সিলেটে বসে ফ্রিল্যান্স কাজের ফাঁকে ঢালিউডের নতুন আপডেট অনুসরণ করি, আর মনে হয় আমাদের সাম্প্রতিক চলচ্চিত্রগুলোর ভিজ্যুয়াল মান সত্যিই উন্নত হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও যেখানে কেবল স্টুডিও-কেন্দ্রিক দৃশ্য দেখতাম, এখন সেখানে দেশজ বিভিন্ন লোকেশন, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে শুটিং বাড়ছে। এতে একদিকে দেশের সৌন্দর্য পর্দায় ফুটে উঠছে, অন্যদিকে পর্যটনেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মাশাআল্লাহ, এই পরিবর্তনগুলো ঢালিউডকে আরও আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে সহায়ক হচ্ছে।
আজকাল ঢালিউডের শিল্পীরা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন Facebook ও YouTube আরও সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছেন। এতে দর্শক ও শিল্পীদের মধ্যে দূরত্ব কমছে, আর একই সঙ্গে প্রচারণাও অনেক সহজ হচ্ছে। আমি নিজেও মাঝে মাঝে YouTube-এ নতুন ট্রেলার বা বিহাইন্ড দ্য সিন দেখলে ভালো লাগে, কারণ এসব ভিডিও থেকে বোঝা যায় কতো পরিশ্রম করে একটি দৃশ্য নির্মিত হয়। ইনশাআল্লাহ, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আরো নতুন প্রজন্ম চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হবে।
প্রযোজকদের কথায় শোনা যায়, তারা এখন ব্যবসায়িক দিক থেকে আরও সতর্ক। আগের মতো শুধুই তারকাখ্যাতির ওপর ভরসা না রেখে, গল্প ও স্ক্রিপ্ট সঠিকভাবে যাচাই করে কাজ শুরু করছেন। এতে বাজেট অপচয় কমছে, আর দর্শকের সন্তুষ্টিও বাড়ছে। আমার পরিচিত কয়েকজন ঢাকার বন্ধু যারা চলচ্চিত্রে কাজ করেন, তারা বলেন আজকাল টিমওয়ার্ক ও পেশাদারিত্ব অনেক বেড়েছে, যা ইন্ডাস্ট্রির জন্য অবশ্যই আশাব্যঞ্জক।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ঢালিউড ধীরে ধীরে নতুন এক রূপের দিকে এগোচ্ছে। যদিও চ্যালেঞ্জ এখনো আছে, তবুও সাম্প্রতিক প্রবণতা ও নির্মাতাদের সচেতনতার কারণে ভবিষ্যৎ যে উজ্জ্বল হতে পারে, সে বিষয়ে অনেকেই আশাবাদী। আলহামদুলিল্লাহ, দেশের বিনোদন শিল্পের এই অগ্রগতি আমাদের সবার জন্যই আনন্দের বিষয়।
Top comments (4)
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, ঢালিউডের এই পরিবর্তনটা সত্যিই আশাব্যঞ্জক মনে হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
আমার মতে ঢালিউডের এই কনটেন্টভিত্তিক পরিবর্তন ভবিষ্যতে আরও মানসম্মত সিনেমার পথ তৈরি করবে ইনশাআল্লাহ, বিশেষ করে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার দর্শকদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
হাহা ভাই, কনটেন্টভিত্তিক ছবি মানে এখন আর আইটেম সং দিয়ে শুরু না করলেই হইলো!
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, ঢালিউডের এই ইতিবাচক পরিবর্তন ইনশাআল্লাহ আরও ভালো কন্টেন্ট নিয়ে আসবে।