আজকাল দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দলের কর্মসূচি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, খুলনা এবং আমাদের বরিশাল পর্যন্ত রাজনৈতিক পরিবেশে নানান ধরনের কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে। দলগুলো সাধারণত সংগঠন পুনর্গঠন, সদস্য সংগ্রহ, গণসংযোগ এবং বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে অবস্থান তুলে ধরার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করছে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনা শক্তিশালী করতে চাইছে, যা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ।
সম্প্রতি আমি নিজেই বরিশাল শহরে কয়েকটি কর্মসূচির চলমান প্রস্তুতি কাছ থেকে দেখেছি। শহরের বটতলা এলাকা, নথুল্লাবাদ কেন্দ্র, এমনকি বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মীদের প্রচারণা, পোস্টার লাগানো এবং আলোচনা সভার প্রস্তুতি বেশ চোখে পড়েছে। এক দলের তরুণ কর্মীরা আমাকে জানালেন যে তারা সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এলাকাভিত্তিক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মানবিক সহায়তাও চালাচ্ছেন, যা শুনে ভালোই লাগল ভাই। আলহামদুলিল্লাহ, অন্তত কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার বাইরে গিয়ে মানবিক কাজ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বড় রাজনৈতিক দলগুলোও কেন্দ্র থেকে নিয়মিত বার্তা পাঠিয়ে মাঠপর্যায়ে মতবিনিময় সভা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। এর ফলে জেলা এবং মহানগর পর্যায়ে বিভিন্ন দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব বৈঠকে সাধারণত দলীয় নীতি, চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, তরুণদের সম্পৃক্ততা এবং নির্বাচনী কৌশলের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা কখনো বাড়ে, কখনো কমে, তাই দলগুলোও বেশ সতর্ক অবস্থানে চলছে এবং মাঠপর্যায়ের কর্মীদেরও শান্তিপূর্ণ আচরণের নির্দেশ দিচ্ছে।
বরিশালে আমার পরিচিত কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছিলেন যে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে দলগুলো এখন আরও বেশি গণসংযোগের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বাজার এলাকা, মসজিদের সামনে কিংবা বিভিন্ন পাড়ায় চা দোকানগুলোতে কর্মীরা সাধারণ মানুষের মতামত জানার চেষ্টা করছেন। আমিও কয়েকদিন আগে এক চা দোকানে বসে দেখলাম, সাধারণ ভোটাররা খুবই স্বাভাবিক পরিবেশে নিজেদের মতামত তুলে ধরছেন, যা দেখে মনে হয়েছে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধীরে ধীরে আরও পরিণত হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ সামনে এই ইতিবাচক ধারাটা আরও শক্তিশালী হবে।
সামগ্রিকভাবে বলা যায়, বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচি মূলত সংগঠন শক্তিশালী করা, জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার দিকেই কেন্দ্রীভূত। যদিও বড় ধরনের কোন নির্দিষ্ট ঘটনা সম্প্রতি সামনে আসেনি, তবুও দলগুলো নিজেদের প্রস্তুতি এবং যোগাযোগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এসব কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও সুসংহত হবে।
Top comments (5)
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, সারাদেশে এখন রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে অনেক।
হাহা ভাই, কর্মসূচি তো দেখি সব সময়ই চলে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় নাকি সেইটাই আসল প্রশ্ন! 😂
গতকাল আমাদের এলাকায় একটা মিছিল গেল, দোকান বন্ধ রাখতে হইল সারাদিন, ব্যবসায় লস হইল অনেক।
Amader area te geche shoptahe ekta kore rally hocche, bazar e gele jam e atke jai ar kajer khoti hoy, shotti bolte saddaharon manush er jibon e oshubidha hocche.
ভাই, আপনার এলাকায় কি এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে নাকি কোনো টেনশন আছে?