সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে আবারও জনমনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। আজকাল রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ নানা অঞ্চলে নানা ধরনের সভা, সমাবেশ, মতবিনিময় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চোখে পড়ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নিয়মিত কর্মসূচি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে, তবে পরিস্থিতি সব সময়ই শান্তিপূর্ণ থাকে না। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ, বেশির ভাগ স্থানে সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে অংশ নিচ্ছেন।
আমি নিজে রংপুরে থাকি। কয়েক সপ্তাহ আগে শহরের ব্যস্ত এলাকায় বিভিন্ন দলের কর্মীরা প্রচারণামূলক লিফলেট বিতরণ করছিলেন। তারা উন্নয়ন, অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থান নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছিলেন। একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে আমি লক্ষ্য করেছি, এখন অনেক দলই প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বেশি বলছে। বিশেষ করে ডিজিটাল সেবা, স্টার্টআপ বিকাশ এবং তরুণদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিয়ে তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে। এসব কথা শুনে মনে হয়েছে, ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ টেকনোলজি সেক্টরে আরও সুযোগ তৈরি হতে পারে।
তবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথাও বাদ যায় না। কিছুদিন আগে অফিসে যাওয়ার পথে রংপুর শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দীর্ঘ যানজট হয়েছিল। পরে জানা গেল, কাছাকাছি একটি সংগঠনের কর্মসূচি ছিল, যার কারণে রাস্তায় চাপ বেড়ে যায়। অনেক যাত্রী বিরক্ত হলেও বেশির ভাগই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছিলেন। আমার পাশেই দাঁড়ানো এক মামা বলছিলেন, কর্মসূচি হোক, কিন্তু মানুষের চলাচল যেন পুরোপুরি বন্ধ না হয়। এমন সাধারণ মন্তব্যগুলোই দেখায় যে, মানুষ রাজনৈতিক কার্যক্রম চায়, কিন্তু শৃঙ্খলাও আশা করে।
সাম্প্রতিক প্রবণতা দেখে মনে হয়, বিভিন্ন দল ভবিষ্যতের সম্ভাব্য জাতীয় রাজনৈতিক পরিবেশকে সামনে রেখে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। মাঠপর্যায়ে কর্মীসংগঠন শক্তিশালী করাই হোক বা জনগণের দাবি তুলে ধরাই হোক, সব দলেরই আলাদা কৌশল আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের নিয়মিত কর্মসূচি গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ। তবে এটি যেন জনগণকে অস্বস্তিতে না ফেলে, সেই দিকটিও সবার মাথায় রাখা দরকার। মাশাআল্লাহ দেশে রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ছে, আর জনগণও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে চেষ্টা করছেন।
সব মিলিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি এখন দেশের জনজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মত প্রকাশের সুযোগ থাকলে জনগণের আস্থা বাড়ে এবং গণতন্ত্রও আরও শক্ত ভিত্তি পায়। ভবিষ্যতে এসব কার্যক্রম আরও সংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং জনগণবান্ধব হবে বলেই আশা করা যায়, ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
ভাই কেউ কি জানেন মোহাম্মদপুর টাউন হলের কাছে নতুন যে কোচিং সেন্টার খুলেছে সেটা কেমন? বিসিএস প্রিলির জন্য ভর্তি হব ভাবছি।
আমার অভিজ্ঞতায় রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় থাকাটা জরুরি, কারণ এতে সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলো সরাসরি তাদের কানে পৌঁছায়।
ভাই এখন তো রাজনৈতিক কর্মসূচি দেখলেই মনে হয় আবার রাস্তাঘাট ব্লক হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ আগে থেকেই বাসায় থাকা ভালো। হাহাহা মজা লাগল পোস্টটা!
হাহাহা ভাই, এত কর্মসূচি হচ্ছে যে দেখি আমাদের বাসার সামনেই যদি একটা মিছিল বসে যায় তাতেও আর অবাক হব না, আলহামদুলিল্লাহ ট্রাফিক তো আগেই পুরা ধ্বংস!
Amar mote shudhu kormosuci dile hobe na, manush ekhon real policy niye kotha bolte chai, noyto ei alochana gulo surface level e theke jabe.