চট্টগ্রামের আগ্রাবাদসহ আশেপাশের এলাকায় স্থানীয় ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন এক উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষার শেষদিকে আবহাওয়া একটু পরিষ্কার হওয়ার পর থেকেই এলাকাভিত্তিক দলগুলো আবার মাঠে নেমে পড়েছে। বেশ কিছু ক্লাব নিজেদের অনুশীলন সেশন জোরদার করেছে এবং তরুণ খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণও নজরকাড়া। ক্রিকেট সবসময়ই আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাধুলার একটি, আর এই জনপ্রিয়তা আবার নতুনভাবে জেগে উঠছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
আগ্রাবাদ মাঠ, পোর্ট কানেক্ট রোডের কয়েকটি খোলা জায়গা এবং বাকলিয়া অঞ্চলের অনেক মাঠে প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে উৎসাহী ক্রিকেটপ্রেমীদের জড়ো হতে। আমি নিজেও কয়েকদিন আগে একবার আগ্রাবাদ মাঠে গিয়ে দেখলাম, স্কুল কলেজের ছেলেরা নিজেদের দল বানিয়ে ছোট ছোট টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে। খেলার মধ্য দিয়ে তাদের উৎসাহ আর এনার্জি দেখে সত্যিই ভালো লাগলো ভাই। তাদের কেউ কেউ বলছিল যে নিয়মিত খেলতে পারলে ভবিষ্যতে বড় দলে খেলতে চাইবে, ইনশাআল্লাহ।
স্থানীয় ক্রিকেট সংগঠকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, আজকাল অনেক পরিবারই শিশু ও কিশোরদের খেলাধুলায় উৎসাহ দিচ্ছে। আগের তুলনায় ক্রিকেট শেখানোর কোচিং সেন্টার ও একাডেমি বেড়ে গেছে, আর সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে এসে ছেলেমেয়েরা আরও দক্ষ হচ্ছে। যদিও কোনও নির্দিষ্ট বড় টুর্নামেন্টের কথা এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে খেলোয়াড় ও দর্শকদের আগ্রহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে শিগগিরই এক বা একাধিক এলাকার যৌথ উদ্যোগে নতুন প্রতিযোগিতা আয়োজন হতে পারে।
স্থানীয় ক্রিকেটের প্রতি মানুষের এই আগ্রহ শুধু খেলোয়াড় তৈরির পথই সুগম করছে না, পাশাপাশি এলাকায় এক ধরনের সামাজিক ঐক্যও তৈরি করছে। ম্যাচের দিন আশেপাশের দোকানে ভিড় বেড়ে যায়, সবাই চা আর সিঙ্গারা খেতে খেতে খেলার গল্প করে। অনেকেই বলে যে এমন পরিবেশ মানসিকভাবে তরুণদের সুস্থ রাখে এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর বিনোদন দিচ্ছে। আমার নিজের অভিজ্ঞতাতেও দেখেছি, বন্ধুরা মিলে একটা ম্যাচ খেললে স্ট্রেস অনেকটাই কমে যায়, আলহামদুলিল্লাহ।
সব মিলিয়ে বলা যায় যে চট্টগ্রামের স্থানীয় ক্রিকেটে যে প্রাণচাঞ্চল্যের জোয়ার দেখা যাচ্ছে, তা ভবিষ্যতে আরও ইতিবাচক কিছু নিয়ে আসবে বলে আশাবাদী সবাই। তরুণ খেলোয়াড়দের এই আগ্রহ টিকিয়ে রাখতে মাঠ, সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের আরও সুযোগ তৈরি হলে স্থানীয় ক্রিকেট আরও সমৃদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
bhai Chattogram er cricket dekhle mone hoy amio field e namnibo, kintu amar fitness to abar alada remix haha!
haha bhai Chittagong er gully cricket er level e to national team er cheye beshi exciting, kom e kom pitch invader nai!
মামা চট্টগ্রামের ক্রিকেটে এমন জোশ উঠছে যে ইনশাআল্লাহ আরেকটু গেলে টিভিতে কমেন্টেটররাই চিন্তা করবে আমরা কি আইপিএল চালাইতেছি নাকি। হাহা!
স্থানীয় পর্যায়ে এভাবে ক্রিকেটের চর্চা বাড়লে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের জন্য ভালো খেলোয়াড় পাওয়া সহজ হবে, ইনশাআল্লাহ।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটের নতুন উদ্দীপনা সত্যিই আশা জাগায় মাশাআল্লাহ। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও ভালো কিছু দেখবো।