সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনা আবারও সক্রিয় হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ এর প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আজকাল নাগরিক জীবনে আগের তুলনায় আরও বেশি প্রভাব ফেলছে। খুলনায় কাজ করতে গিয়ে আমি নিজেই দেখেছি, ওয়ার্ড পর্যায়ের সিদ্ধান্তগুলো কেমন করে প্রতিদিনের সেবা, রাস্তা-মেরামত কিংবা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই স্থানীয় নির্বাচনে সুষ্ঠু অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আজকের দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অনেকেই মনে করেন জাতীয় নির্বাচন বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বাস্তবে স্থানীয় প্রতিনিধিরাই মানুষের সবচেয়ে কাছের সেবা প্রদানকারী। পানির সংযোগ, ড্রেনেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল বা ওয়ার্ডের নিরাপত্তা সব কিছুই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে থাকে। খুলনার দৌলতপুর অঞ্চলে কিছুদিন আগে এক চাচার সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি বললেন, আগেরবার নির্বাচনে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করতে এলাকাবাসীর মধ্যে সমন্বয় ছিল কম, যার ফলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে দেরি হয়েছে। তার কথায় বুঝলাম, সচেতনতা আর সঠিক তথ্যের অভাব এখনো বড় বাধা।
আজকাল অনেক তরুণ ভোটার সামাজিক মাধ্যমে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যা মাশাআল্লাহ একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। তবে শুধু অনলাইন বিতর্কে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বাস্তবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া এবং প্রার্থীদের কর্মসূচির খোঁজ রাখা জরুরি। Pathao আর bKash এর যুগে যেখানে সেবা হাতের মুঠোয়, সেখানে তথ্য পাওয়া কিংবা প্রার্থীদের পরিকল্পনা জানা খুব কঠিন কিছু নয়। আলহামদুলিল্লাহ, তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ বাড়ছে, যা ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য ভালো লক্ষণ।
সার্বিকভাবে দেখা যায়, স্থানীয় নির্বাচনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং নাগরিক সহযোগিতা এই তিনটি বিষয়ই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। ভোটারদের উচিত প্রার্থীদের যোগ্যতা, নীতি এবং অতীত কাজের মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ইনশাআল্লাহ, আমরা যদি সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করি, তাহলে স্থানীয় সরকার আরও কার্যকর হয়ে উঠবে এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
নাগরিক অধিকার চর্চা মানে শুধু ভোট দেওয়া নয়, বরং তার আগের প্রস্তুতি এবং পরের পর্যবেক্ষণও। খুলনার মানুষের অভিজ্ঞতা দেখেই বারবার মনে হয়েছে, জনসম্পৃক্ততা বাড়লে স্থানীয় উন্নয়ন আরও দ্রুত এবং স্বচ্ছভাবে এগিয়ে যেতে পারে। তাই সচেতন অংশগ্রহণই হতে পারে টেকসই উন্নয়নের শক্তিশালী ভিত্তি।
Top comments (5)
ekdom thik kotha bhai, nagorik conscious barle local election e participation o barবে inshaAllah. khub bhalo post.
আমার মতে নাগরিকরা যদি স্থানীয় সরকারের কাজকর্ম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সচেতন থাকে, তাহলে অংশগ্রহণও বাড়বে ইনশাআল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে আস্থার পরিবেশ তৈরি না হলে মানুষ ভোটে আগ্রহী হয় না।
একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই, স্থানীয় নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণ না বাড়লে উন্নয়ন কোনদিন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছাবে না।
স্থানীয় নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে প্রথমে তাদের বোঝাতে হবে যে এই নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই সরাসরি তাদের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধান করবে, জাতীয় নেতারা না।
ভাই, গ্রামের মানুষদের সচেতন করার জন্য কি কোনো কার্যকর পদ্ধতি আছে যেটা আপনার অভিজ্ঞতায় কাজ করেছে?