জাতীয় সংসদে সম্প্রতি একটি নতুন বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, আর এটি নিয়ে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট মহলে যেমন, সাধারণ নাগরিকদের মাঝেও বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আজকাল সংসদে বিভিন্ন খাতে আধুনিকায়ন এবং নীতিমালা হালনাগাদের কথা নিয়মিত শোনা যায়। এই নতুন বিলটিও মূলত প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বাড়ানো এবং নাগরিক সেবা আরও সহজ করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও বিলটির বিস্তারিত এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশ পায়নি, তবে সংসদ সদস্যদের মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে যে এটি প্রযুক্তিনির্ভর সেবা ব্যবস্থার প্রসারকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
সম্প্রতি আমি ধানমন্ডি এলাকায় কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। তারা বলছিল, সরকারি সেবা ডিজিটালভাবে সহজ হলে তাদের দৈনন্দিন কাজ অনেক দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন সার্টিফিকেট, সরকারি অনুমোদন কিংবা তথ্য সংগ্রহের মত কাজ অনলাইনে সহজ হলে সময় এবং ঝামেলা দুটোই কমে যাবে। এক তরুণ বলছিলেন যে তিনি আগে একটি নথি সংগ্রহ করতে গিয়ে কয়েকদিন দৌড়াদৌড়ি করেছেন, কিন্তু এখন যদি এসব সেবা ঘরে বসেই পাওয়া যায় তবে নাগরিকদের জীবন অনেক সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।
সংসদের কয়েকজন সদস্য সম্প্রতি আলোচনায় উল্লেখ করেছেন যে বিলটি নাগরিকদের মতামতকে গুরুত্ব দেবে। তারা বলেছেন, আজকাল দেশের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি ব্যবহারে যতটা স্বচ্ছন্দ, নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মিরপুরের এক শিক্ষক আমাকে বলছিলেন যে এই ধরনের বিল যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে ভবিষ্যতের প্রশাসনিক কাঠামো হবে আরও কার্যকর এবং স্বচ্ছ। তাঁর মতে, আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নিয়মিত নীতিমালা হালনাগাদ করা অত্যন্ত জরুরি।
সাধারণ মানুষের মধ্যে যদিও কৌতূহল রয়েছে, তবুও অনেকে মনে করছেন যে যেকোনো পরিবর্তনের সফলতা নির্ভর করে সঠিক বাস্তবায়নের উপর। গুলশানে এক অফিসকর্মী বলছিলেন যে পূর্বেও কিছু নীতিমালা ভালো উদ্দেশ্যে আনা হলেও বাস্তবে পুরোটা কার্যকর হয়নি। তাই এবার মানুষ অপেক্ষায় আছে বিলটি সংসদে পাশ হলে কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তা দেখার জন্য। অনেকেই আশা করছেন আলহামদুলিল্লাহ এবার হয়তো আরও স্থায়ী এবং কার্যকর পরিবর্তন আসবে।
সব মিলিয়ে বলা যায় যে নতুন বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও এর প্রকৃত প্রভাব বোঝা যাবে সামনে। নাগরিক সেবা উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধির যে লক্ষ্য সামনে আনা হয়েছে, তা যদি যথাযথভাবে এগিয়ে যায়, তবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পথে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে। মাশাআল্লাহ দেশের তরুণ প্রজন্ম যেমন পরিবর্তন চায়, তেমন উদ্যোগ সংসদে দেখা গেলে আগামী বছরগুলোতে আরও আধুনিক এবং দক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
আমার অভিজ্ঞতায় এমন বিল প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বাড়াতে সত্যিই কাজে দেয়, ইনশাআল্লাহ এতে নাগরিক সেবার মানও উন্নত হবে। আশা করি সংসদে গঠনমূলক আলোচনা হবে ভাই।
এই বিল ফিল দিয়ে কিছু হবে না, আগে যারা পাস করছে তাদের দিকে তাকান!
আমি একমত নই ভাই, কারণ এভাবে বিল আনলেই স্বচ্ছতা বাড়বে এমন গ্যারান্টি নেই, আগেও এমন অনেক প্রতিশ্রুতি শেষ পর্যন্ত ফাঁকা ছিল। বাস্তবে কী হয় সেটা দেখলেই বুঝবো ইনশাআল্লাহ।
যাই হোক, কেউ কি বলতে পারবেন নীলক্ষেতে হুমায়ূন আহমেদের নতুন সংকলন এসেছে কিনা?
বিল পাস করে কি হবে বলেন, বাস্তবে তো কিছুই হয় না, শুধু কাগজে কলমে থাকে!