দেশজুড়ে স্থানীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক পরিবেশ ধীরে ধীরে জমে উঠছে। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া স্থানীয় নেতাকর্মীরা সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে বাড়তি যোগাযোগ করছেন, আর মানুষও তাদের প্রত্যাশা ও উদ্বেগ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে যে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টি এখন সবচেয়ে বড় আলোচ্য। ভোটারদের মতে, উন্নয়নমূলক কাজ ও নাগরিক সেবা যেন বাস্তবিকভাবে নিশ্চিত হয়, সেটাই তাদের প্রধান চাওয়া।
বগুড়ার স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে আমিও লক্ষ্য করছি, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থীদের প্রচারণা আজকাল আরও সুশৃঙ্খল হচ্ছে। অনেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরছেন। একদিন বাজারে যাওয়ার পথে আমার সঙ্গে থাকা একজন মামা বলছিলেন যে এবার তিনি এমন কাউকে ভোট দিতে চান যিনি ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তা মেরামত আর পানি সরবরাহের মতো বাস্তব সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দেবেন। তার কথায় বোঝা গেল, মানুষ এখন প্রতিশ্রুতির চেয়ে বাস্তব কাজকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
শহরের তরুণ ভোটারদের মধ্যেও নির্বাচনী নিয়মকানুন সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাওয়া অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য দেখে নিজেরা সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছেন। ফেসবুক বা ইউটিউবের কিছু তথ্যমূলক কনটেন্ট তাদের এই বিষয়গুলো বুঝতে সহায়তা করছে। আলহামদুলিল্লাহ, তরুণদের এই আগ্রহ দেখে মনে হয় ভবিষ্যতের স্থানীয় নেতৃত্ব আরও জবাবদিহিমূলক হবে ইনশাআল্লাহ। আমার এক ছোট ভাইও বলছিল যে সে নীতিনিষ্ঠ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস।
তবে সাধারণ মানুষের মনে কিছুটা উদ্বেগও আছে। কেউ কেউ ভাবছেন নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন থাকবে, ভোট দেওয়ার পরিবেশ কতটা স্বচ্ছ হবে। স্থানীয় প্রশাসন এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে বলছেন যে তারা নিরপেক্ষ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। ভোটাররা আশা করছেন যে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ নেবে এবং কোনও ধরনের চাপ বা অস্বস্তি ছাড়াই সবাই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
সামগ্রিকভাবে দেখা যায়, স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষের আশা, আশঙ্কা, পরিকল্পনা এবং দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা মিলেমিশে একটি ব্যস্ত সময় তৈরি করেছে। উন্নয়ন, সেবা, নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতা এখন ভোটারদের কাছে প্রধান বিষয়। বগুড়া সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ চাইছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে এমন প্রতিনিধিরা আসুক যারা সত্যিকারের জনসেবায় বিশ্বাসী। মাশাআল্লাহ, যদি এই ইতিবাচক পরিবেশ বজায় থাকে, তাহলে আগামি দিনের স্থানীয় সরকার আরও কার্যকর হতে পারে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
bhai ei bar election niye shanti thakbe bole je bola hocche, eta ki ground e o dekhte pachhen naki media hype, jante ichcha korlo?
Shantipurno election chai bolte bolte amra shanti paite paite buro hoye jacchi, InshaAllah ei bar ektu different hobe! 😅
haha bhai election er age shanti er kotha shunle mone hoy uporer keu eto beshi swapno dekhtesen 😂
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলেই দেশ আরও এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
ভাই, এবার কি সত্যিই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে নাকি আগের মতোই হবে?